প্রায় তিন দশক ধরে বহরমপুর-হরিহরপাড়া রাজ্য সড়কের উপর অবস্থিত সংকীর্ণ সেতুটির কোনও মেরামতি হয়নি। ভগ্নপ্রায় ওই সেতু দিয়ে দৈনিক প্রায় লাখ খানেক মানুষ কার্যত তাঁদের জীবন হাতে নিয়েই চলাচল করেন। সেতুটির সংস্কারের ব্যাপারে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কারও কোনওরকম হেলদোলই নেই।
হরিহরপাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় ভৈরব নদীর উপরের ওই ব্রিজটি তৈরি হওয়ার পর কখনও মেরামতির মুখ দেখেনি। ফলে ওই সেতুতে বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। দু’পাশের রেলিংও ভেঙে পড়েছে। বিপজ্জনক এই সেতুতে রাতের বেলা আলোর কোনও ব্যবস্থা নেই। হরিপাড়া বাজার থেকে থানায় যাওয়ার একমাত্র ভরসা ওই সেতুটি। ওই ব্রিজের পাশেই বসে সাপ্তাহিক ট্যাংরামারি গরুর হাট। নদিয়া-মুর্শিদাবাদের বহু লোক জরাজীর্ণ ওই সেতু মাড়িয়েই আসেন হাটে। সেতু পেরিয়েই ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যায়। স্থানীয় এক স্কুলের শিক্ষিকা আঞ্জুনারা বেগম বলেন, “আমি রোজ ওই সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করি। গর্ত দুটো দেখে ভয় লাগে। তার উপর আবার দু’পাশের রেলিংগুলোও ভাঙা। ফলে গাড়ি উল্টে যাওয়ার ভয় হয়।” |
হরিহরপাড়ার বিধায়ক সিপিএমের ইনসার আলি বিশ্বাস বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ লোক যাতায়াত করলেও, সরকারি কোনও নজরদারি নেই। বিধানসভায় কয়েকবার সেতুটি সংস্কারের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছি। শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে সেতুটির সাময়িক মেরামতির কাজে হাত দেওয়া হয়েছে।” হরিহরপাড়া ব্লক কংগ্রেস সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা মির আলমগীর বলেন, “ব্লক ও জেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। রাতের অন্ধকারে ওই সেতু দিয়ে চলাচল করতে মানুষের ভীষন অসুবিধা হয়। অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। তা সত্ত্বেও প্রশাসন নিরুত্তাপ।” এ প্রসঙ্গে হরিহরপাড়া ব্লকের বিডিও রাজর্ষি নাথ বলেন, “বিষয়টি সমস্যার। তবে শীঘ্রই মেরামতির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” এই প্রসহ্গে মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) সন্দীপ দত্ত বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” |