দীর্ঘদিন ধরে মেরামতির অভাবে কান্দি-সাঁইথিয়া রাজ্য সড়কের একাংশ যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম অগম্য ওই রাস্তাটির সংস্কারের ব্যাপারে পুর্ত দফতরের কর্তাদের কোনও হেলদোল নেই। ফলে সমস্যায় পড়ছেন নিত্যযাত্রী থেকে বাস মালিকেরা। অগত্যা ভরসা লছিমনই।
৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রাজ্য সড়কটির ২০ কিলোমিটার রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। বাকি অংশ রয়েছে বীরভূম জেলায়। ওই অংশে সংস্কারও হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মুর্শিদাবাদের অংশে দীর্ঘ প্রায় এক দশক ধরে কোনও মেরামতি হয়নি। পিচের আস্তরণ উঠে গিয়ে খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। মাঝেমাঝেই তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বর্ষার সময় ওই রাস্তা কার্যত সোঁতার চেহারা নেয়। |
গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা দিয়ে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে ৬৫টি বাস চলে। কঙ্কালসার ওই রাস্তায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে বলে দাবি পরিবহন ব্যবসায়ীদের। নিত্যযাত্রী প্রকাশ দাস বলেন, “ব্যবসার কাজে প্রায়ই ওই রুট দিয়ে প্রায়ই যেতে হয়। বেহাল ওই রাস্তায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।” কান্দি বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন, “রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সংস্কারের জন্য বহু বার দাবি জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি।” মুর্শিদাবাদের অনেক ব্যবসায়ীই সাঁইথিয়ার পাইকারি বাজার থেকে তাঁদের পণ্য কিনে আনেন। তাই বাস ছাড়াও ওই রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক ও লরিও চলে। কান্দি মহকুমা লরি সমিতির সম্পাদক ফুলু মিঞা বলেন, “রাস্তাটি সংস্কারের ব্যাপারে বার বার দাবি জানিয়েছি। পুজোর আগে কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও তা হয়নি। দ্রুত রাস্তার হাল না ফিরলে পণ্য চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।” পূর্ত দফতরের কান্দি মহকুমার আধিকারিক শ্যামল দাস বলেন, “এক মাসের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যে টেন্ডার ডাকা হয়ে গিয়েছে।” কিন্তু পুজোর আগে কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, এখনও কেন হল না? শ্যামলবাবুর উত্তর, “রাজ্যজুড়ে অনেক রাস্তাতেই সংস্কার হচ্ছে। একই ঠিকাদার সংস্থা একাধিক কাজের বরাত নিয়েছে। তাই দেরি হচ্ছে। তবে এক মাসের মধ্যে কাজ শুরু না হলে আমরা ব্যবস্থা নেব।” |
স্কুলে তালা, শিকেয় পড়া
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
গত তিন ধরে তালা বন্ধ সুতি-২ ব্লকের উল্লাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। যার জেরে শিকেয় উঠেছে পড়াশুনা ও মিড-ডে মিল। স্কুলের সভাপতি গোলাম নাসের বলেন, “রাজ্য সরকার ছট পুজো উপলক্ষে সোমবার ‘রেসট্রিক্টেড হলিডে’ ঘোষনা করেছিল। যাঁরা ছট পুজো করেন, কেবল তাঁরাই পাবেন এই ছুটি। কিন্তু একশো শতাংশ সংখ্যালঘু এলাকায় অবস্থিত এই স্কুলে কেউই ছট পুজো করেন না। তা সত্ত্বেও শিক্ষকেরা ছুটি ঘোষনা করায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।” স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দেখা মেলেনি। সহ শিক্ষক তরুণ মন্ডল বলেন, “গ্রামবাসীরা স্কুলে তালা বন্ধ করে রেখেছেন। আমরা স্কুল পরিদর্শকের অফিসে গিয়ে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছি।” সুতির বিদ্যালয় অবর পরিদর্শক সুরজিৎ হালদার বলেন, “ওই স্কুল নিয়ে কিছু অভিযোগ এসেছে। ৩.৯২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন তৈরি হলেও খরচের কাগজপত্র ঠিকঠাক জমা পড়েনি। সোমবারের ছুটি ওই স্কুলের পাওয়ার কথা নয়। তবু কেন স্কুল বন্ধ ছিল, কেনইবা গ্রামের লোকজন স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তা জানতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলব। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |