তেহট্টে পুলিশের গুলিতে নিহত অশোক সেনের বাড়িতে পুলিশ এল পাক্কা সাত দিন পরে। তবে স্থানীয় থানার পুলিশ নয়, বুধবার দুপুরে, অশোরবাবুর বাড়ি গিয়ে প্রায় ঘন্টা খানেক কথা বলে এলেন সিআইডি-র তদন্তকারী অফিসারেরা। শুধু অশোকবাবু নয়, তাঁরা ঘুরে গেলেন গুলিতে জখম সুধাময় ঘোষের অপরিসর ঠিকানাতেও। দু-বাড়িতেই জিজ্ঞাসাবাদের সময় ঘুরে ফিরে এল গুলি-প্রসঙ্গ। এ দিন সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ সিআইডি-র তদন্তকারী দলটি তেহট্ট থানায় আসে। তারপর তাঁরা সকাল এগারোটা নাগাদ পি ডব্লিউ ডি মোড়ের ‘বিতর্কিত’ জমি ঘুরে দেখেন। ছবিও তোলেন। কথা বলেন স্থানীয় লোকজনের সঙ্গেও। দুপুর বারোটা নাগাদ তাঁরা আহত সুধাময় ঘোষের বাড়িতে যান। কথা হয় সুধাময়ের স্ত্রী রীতা, মেজ দাদা ও বাবার সঙ্গে। |
রীতা বলেন, ‘‘ওঁদের বলেছি বুধবার, আমার স্বামী মাঠ থেকে ফিরছিলেন। সেইসময় পুলিশের গুলিতে ও আহত হয়।’’ নিহত অশোক সেনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর একটি মোবাইল ও ব্যবসার একটি ছোট নোটবুক সংগ্রহ করেন। ঘটনার সময় ওই মোবাইল ও নোটবুক দুটোই অশোকবাবুর জামার বাঁ দিকের পকেটে ছিল। অশোকবাবুর ছেলে অমিত বলে, ‘‘বাবার ওই নোটবুকটা গুলিতে এফোঁড় ও ফোঁড় হয়ে গিয়েছিল। মোবাইলের স্ক্রিনটাও খারাপ হয়ে গিয়েছে। সিআইডি-র লোকজন এদিন বাড়িতে এসে মা, ঠাকুমা, কাকা ও আমাকে আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।’’ অশোকবাবুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে ওই তদন্তকারীরা মহকুমাশাসকের অফিস ও পরে মহকুমা হাসপাতাল এবং তেহট্ট ১ ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের অফিসে যান। গত শনিবার সিআইডি-র হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়। ওই দিনই তাদের কেস ডায়েরিও দিয়ে দেওয়া হয়েছে তবে শনিবার সিআইডি তদন্তের দায়িত্ব নিলেও কার্যত ময়দানে নেমেছে মঙ্গলবার। তেহট্ট জুড়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর মুখে চরম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। ছোট্ট শহরটা পুলিশে ছয়লাপ। প্রশাসনের দাবি পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। বুধবার তেহট্ট এলাকার ১১টি জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি প্রশাসনের থেকে অনুমতি নিয়েছে। |