বহরমপুর-রামনগর রাজ্য সড়কের উপরে মাণিক্যহার মোড়। গঙ্গার ফেরি ঘাটে যাওয়ার রাস্তার বা দিকে বড় সবুজ বাড়িটা রেজিনগরের বিদায়ী কংগ্রেস বিধায়ক বর্তমান রাজ্য সরকারের প্রতিমন্ত্রী হুমায়ুন কবিরের বাড়ি।
কিন্তু বুধবার সকাল থেকে সেখানে ভিড় কোথায়? সদ্য-মন্ত্রী বাড়ির সামনে চেনা সোল্লাস নেই, মিষ্টি বিতকণ, না তাও নেই, আছে শুধু ধুলো ওড়ান মোটরবাইকের দাপাদাপি। কেন? তৃণমূলের নেতা কর্মীদের কাছে উত্তর মেলেনি।
মন্ত্রীর বাড়ি কোথায়? উত্তরটা ফিরে এল, “মন্ত্রীর বাড়ি? তাহলে সান্ত্রি কোথায়? নাঃ, এখানে কোনও মন্ত্রী থাকে না।” বোঝা গেল স্থানীয় গ্রামে এখনও হুমায়ুনের মন্ত্রীত্ব-প্রাপ্তি প্রচার পায়নি। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা তো অকপটেই বলছেন, “এলাকার একাংশ ওঁকে মীরজাফর বলেই চেনেন। দল বদলে ওস্তাদ!” দলের ভেতরেই এমন অভ্যথর্না? স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, ভবিষ্যতে কতটা এলাকার উন্নয়ন হবে তা সময় বলবে। কিন্তু তারা যে কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্যে তা কবুল করছেন অনেকেই। তাঁদেরই এক জন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বললেন, “এ কেমন বেইমানি। তুমি কংগ্রেস বলেই তোমায় বোট দিলাম। আর জিতেই তুমি মন্ত্রীর লোবে তৃণমূলে!”
তবে তাঁর মন্ত্রীত্ব নিয়ে তৃণমূলেরই একাংশ বেজায় ক্ষিপ্ত। তাঁদেরই এক জন বলছেন, “যারা কবিরের পাশে আছে, তারা সকলেই তৃণমূলের একটা গোষ্ঠীর লোক। অন্য গোষ্ঠী যারা তৃণমূলকে জেলায় শক্তি যোগাচ্ছে। তাদের কেউ বিদায়ি বিধায়কের পাশে নেই।”
অধীর চৌধুরীর বদান্যতায় টিকিট পেয়ে বিধায়ক, আক সেই অধীরের সঙ্গে বেইমানি? স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই মেনে নিতে পারছে না। এর প্রভাব কী আগামী উপ-নির্বাচনে পড়বে? |