|
|
|
|
নন্দকুমারে গোলমাল |
থানায় অভিযোগ কংগ্রেস-তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
সভা থেকে ফেরার পথে নন্দকুমারে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের গাড়িতে হামলার ঘটনাকে ঘিরে চাপানউতোর চলছেই।
মঙ্গলবার রাতেই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাবুলাল মণ্ডল-সহ দলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছে কংগ্রেস। আবার কংগ্রেসের পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের নন্দকুমার শাখার সভাপতি আব্দুল রেজ্জাক, তাঁর ছেলে ফারুক আলম-সহ দলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে মারধর, মোটর সাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। তমলুকের এসডিপিও পারিজাত বিশ্বাস বলেন, “দু’পক্ষেরই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।”
হলদিয়া বন্দরে স্বয়ংক্রিয় পণ্য খালাসের কাজে নিযুক্ত সংস্থা এবিজি বিদায়ের পরে কাজহারা শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় মঙ্গলবার হলদিয়ায় জনসভা করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। চিরঞ্জীবপুরে প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকা ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, মানস ভুঁইয়া-সহ জেলা নেতৃত্ব। দুপুর আড়াইটা নাগাদ ওই সভা থেকে ফেরার পথে নন্দকুমারে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে গোলমাল বাধে কংগ্রেসের লোকেদের।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসিত পাল বলেন, “হলদিয়ায় আমাদের কর্মসূচি বানচাল করতে তৃণমূল নানা চেষ্টা করেছিল। তা সত্ত্বেও সভার সাফল্য দেখে তৃণমূল পরিকল্পিত ভাবে নন্দকুমারে আমাদের নেতা-কর্মীদের গাড়ি আটকে হামলা চালায়। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।” হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বাবুলালের পাল্টা বক্তব্য, “আমি ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম না। মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরাই উল্টে তাণ্ডব চালিয়েছে। আমাদের চার সমর্থক আহত হয়েছেন।”
|
|
|
|
|
|