দাসেরবাঁধ কঙ্কাল মামলা |
প্রশান্ত অসুস্থ, পিছোল চার্জগঠন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দাসেরবাঁধ কঙ্কাল মামলার চার্জগঠন হল না বুধবারও। মামলার পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১৯ ডিসেম্বর।
এ দিন মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অভিজিৎ সোমের এজলাসে মামলার দিন নির্দিষ্ট ছিল। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গড়বেতার সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের ভাই প্রশান্ত এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন। তবে এ দিন তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তাঁর পায়ে ব্যথা রয়েছে। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীর দাবি, তাঁকে অন্তত দেড় মাস বিশ্রাম নিতে বলেছেন চিকিৎসক। এই মামলায় জামিনপ্রাপ্ত সুশান্ত ঘোষ অবশ্য আদালতে এসেছিলেন।
|
|
মেদিনীপুর আদালতে সুশান্ত। —নিজস্ব চিত্র। |
বুধবার বেলা ১১ টা নাগাদ দাসেরবাঁধ কঙ্কাল কান্ডের মামলায় ধৃতদের মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করা হয়। এই মামলায় মোট ২২ জন গ্রেফতার হয়েছেন। এঁদের মধ্যে সুশান্ত ঘোষ-সহ ১৪ জন জামিনে পেয়েছেন। ৮ জন আছেন জেল হেফাজতে। প্রশান্তবাবু বাদে জেলবন্দি ৭ জনকে এ দিন আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এসেছিলেন জামিনে মুক্ত ১২ জন। অনুপস্থিত ছিলেন কিরীটী রায় ও অর্ণব ঘোষ।
অর্ণব ঘটনার সময় নাবালক ছিলেন। তাই তাঁর জুভেনাইল কোর্টে তাঁর বিচার চলছে। আর কিরীটীর গ্রেফতারি পরোয়ানায় হাইকোর্টের সাময়িক স্থগিতাদেশ রয়েছে।
এ দিন মামলার শুরুতে তাই অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী রাণা গঙ্গোপাধ্যায় আদালতকে জানান, কিরীটী রায়ের বিষয়টি হাইকোর্টের বিচারাধীন। ফলে, এ ক্ষেত্রে মামলা এগোনো সম্ভব নয়। পাশাপাশি, তিনি প্রশান্ত ঘোষ অসুস্থ বলেও আদালতকে জানান তিনি। পরে সরকার পক্ষের আইনজীবী শক্তি ভট্টাচার্যের সওয়াল শুনে বিচারক আগামী ১৯ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এ দিন জেলবন্দি কালীদাস চৌধুরীর জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল আদালতে। বিচারক অবশ্য তা খারিজ করে দেন। |
|
খোশমেজাজে। মেদিনীপুর আদালতের বাইরে সুশান্ত ঘোষ। |
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর এই মামলায় চার্জশিট পেশ করেছিল সিআইডি। তারপর চার্জগঠন হয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। তবে, বিভিন্ন কারনে মামলাটি পিছিয়ে চলেছে। সরকারপক্ষের আইনজীবী বলেন, “আমরা চাই দ্রুত মামলার চার্জগঠন হোক। খসড়া চার্জ তৈরিও রয়েছে।”
এ দিন আদালত থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুশান্তবাবু বলেন, “রাজনীতির ধর্মই হল কৌশল। আমাদের নেতারা তো বলেইছেন, উনি (মুখ্যমন্ত্রী) আলিমুদ্দিনে এলে অভ্যর্থনা জানানো হবে।” প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা নিয়ে বিমান বসু কথা বলতে চাইলে তিনি আলিমুদ্দিনে যেতে রাজি আছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার প্রেক্ষিতেই এই মন্তব্য সুশান্তবাবুর। অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “গড়বেতায় গেলে আপনাদের জানিয়েই যাব।”
|
|