ইস্টবেঙ্গল-১ (রবিন সিংহ)
পিয়ারলেস-০ |
অশ্বমেধের ঘোড়ায় চেপে পেন-মেহতাবরা যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই ওড়াচ্ছেন বিজয়-পতাকা। তা সে ফেড কাপ, আই লিগ বা কলকাতা লিগ যে টুর্নামেন্টই হোক।
বুধবার যেমন হল। কলকাতা লিগে রবিন সিংহরা হারালেন পিয়ারলেসকে। ঘরের টুর্নামেন্টে টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত থেকে গেল লাল-হলুদ জার্সি। ১৯৭২-এ প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্টবেঙ্গলের কোচ থাকার সময় সুধীর কর্মকার, গৌতম সরকাররা টানা ৩২ ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন। আর দু’ম্যাচ অপরাজিত থাকলেই ট্রেভর জেমস মর্গ্যান ছুঁয়ে ফেলবেন পি কে-কে। |
এর পরেও অবশ্য হাল সিটির প্রাক্তন ডেভলপমেন্ট কোচ পূর্ণ স্বস্তিতে থাকতে পারলেন না এ দিন। পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে চোট পেয়ে প্রায় দেড় মাস মাঠের বাইরে চলে গেলেন লাল-হলুদ অধিনায়ক সঞ্জু প্রধান। অন্তত মর্গ্যান তাই বলছেন। ম্যাচের পর ইস্টবেঙ্গল কোচ আশঙ্কা প্রকাশ করলেন, “সঞ্জুর গোড়ালিতে যা চোট তাতে মনে হচ্ছে চার থেকে ছয় সপ্তাহ লেগে যাবে মাঠে ফিরতে।” কলকাতা লিগকে রিজার্ভ বেঞ্চ তৈরির কাজে ব্যবহার করছে আই লিগের ক্লাবগুলো। মর্গ্যানও সেই পথেই হাঁটছেন। তা সত্ত্বেও শুরু থেকেই এ দিন ইস্টবেঙ্গল আক্রমণাত্মক ছিল। বহু গোলের সুযোগও পেয়েছিলেন রবিন, লেনরা। বিরক্ত মর্গ্যান ম্যাচ শেষে বলেও দিলেন, “যা সুযোগ পেয়েছিল টিম তাতে লেনের হ্যাটট্রিক হত।” প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে রবিন সিংহের গোল। লেনের ক্রস থেকে নিখুঁত শটে। পুরো ম্যাচে প্রাধান্য ছিল লাল-হলুদেরই। পিয়ারলেস টেক্কা দিতে না পেরে বেহিসেবি পা চালাতে থাকে। নিট ফল, শেষ মুহূর্তে কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অফিস ক্লাবটির বিদেশি ওয়াহেদ।
ম্যাচ জিতলেও মাঠ নিয়ে মর্গ্যানের ক্ষোভ এখনও কমেনি। ম্যাচের পর লাল-হলুদ কোচ ফের বলে দিলেন, “মাঠ অসমান বলে আমার ছেলেদের খেলতে বেশ সমস্যা হচ্ছে।”
ইস্টবেঙ্গল: জয়ন্ত, সৈকত, রাজু, গুরবিন্দর, রবার্ট, সঞ্জু (ভাসুম), সুশান্ত (অ্যালভিটো), কেভিন, লালরিন্দিকা, লেন, রবিন। |