|
|
|
|
কর্মী নিয়োগে দ্বন্দ্ব তৃণমূলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এমনটা খড়্গপুর শিল্পাঞ্চলে হামেশাই হয়। এ বার হল শালবনিতে। কার অনুগামীরা কাজ পাবে, তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিরোধ প্রকাশ্যে এল। শালবনি থানার ঢ্যাঙ্গাশোলে ফডার ফার্মের সামনে বুধবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলেরই এক গোষ্ঠী। দলীয় কর্মী- সমর্থকদের ক্ষোভ সামাল দিতে দুপুরে যান স্থানীয় বিধায়ক তথা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি শ্রীকান্ত মাহাতো। পরে তাঁর আশ্বাসে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করা হয়। কেন এই বিক্ষোভ? শ্রীকান্তবাবু বলেন, “তেমন কিছু তো হয়নি। সামান্য একটা সমস্যা। তাই গিয়েছিলাম। এটা কোনও ব্যাপার নয়।”
ফডার ফার্মে কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করেই গোলমালের সূত্রপাত। শালবনিতে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী রয়েছে। একদিকে ব্লক সভাপতি নেপাল সিংহের অনুগামীরা। অন্য দিকে, ব্লক সভাপতির বিরোধীরা। অভিযোগ, ২০০৭ সালে স্রেফ তৃণমূল সমর্থক হওয়ায় ৬ জন ফার্মের কাজ হারান। কয়েকদিন কাজ করার পরই তাঁদের কাজ ছেড়ে দিতে হয়েছিল। রাজ্যে পালাবদলের পর তাই নতুন কর্মী নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছিল। কয়েকজনকে নিয়োগও করেন কর্তৃপক্ষ।
এ দিন সকালে যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাঁরা ব্লক সভাপতির ‘বিরোধী’ গোষ্ঠীর লোক বলেই পরিচিত। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন শালবনি অঞ্চলের যুব সভাপতি অজয় মাহাতো। যেখানে ফার্মটি রয়েছে, সেই এলাকাটি এই অঞ্চলেরই অন্তর্গত। কেন এই বিক্ষোভ? অজয়বাবু বলেন, “ব্লক সভাপতি নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করছেন। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলছেন না। ব্লক সভাপতি যাঁদের নাম সুপারিশ করেছেন, তাঁদেরই ফার্মে কাজ দেওয়া হয়েছে।” তাঁর কথায়, “আমাদের প্রতিবাদ এখানেই। ফার্ম কর্তৃপক্ষও আমাদের কোনও কথা কানে তুলছেন না। এমনকী, বিধায়কের সুপারিশও অগ্রাহ্য করছেন।” তৃণমূলের ওই যুব নেতার কথায়, “আগেও আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি। এদিন দুপুরে বিধায়ক এসেছিলেন। তিনি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তারপরই বিক্ষোভ- কর্মসূচী প্রত্যাহার করা হয়েছে।” অজয়বাবুর বক্তব্য, “গ্রামেরই ১০০- ১৫০ লোক ফার্মের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। সকলেই দলের কর্মী- সমর্থক। দ্রুত সমস্যার সমাধান না- হলে আগামী দিনে ফের আন্দোলন হবে।” ফার্মের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে বলে মানতে চাননি তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। তাহলে ঠিক কী হয়েছিল? নেপালবাবু বলেন, “ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।” কেমন? তাঁর কথায়, “ফার্ম থেকে একটি গাড়ির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তাই বেশ কয়েকজন ওখানে এসেছিলেন। কেউ কেউ একেই বিক্ষোভ- কর্মসূচী ভেবেছে।” তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাও উড়িয়ে দিয়েছেন নেপালবাবু। জেলা তৃণমূলের এক নেতা অবশ্য বলেন, “বিক্ষোভের কথা শুনেছি। এমন ঘটনা অপ্রত্যাশিত। এ ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে, তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
|
|
|
|