|
|
|
|
শিক্ষা আইন চালু করতে চাপ দিল্লির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পরিকাঠামোর অভাবে কার্যকর করা যায়নি আড়াই বছরেও। কিন্তু আর বিলম্বে রাজি নন নতুন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ মন্ত্রী এম এম পল্লম রাজু। ৩১ মার্চের মধ্যে শিক্ষার অধিকার আইন কার্যকর করতে হবে, এই মর্মে রাজ্যগুলিকে চিঠি দিতে চলেছে তাঁর মন্ত্রক। ওই সময়সীমার মধ্যে কাজ না হলে, স্কুলের অনুমোদন বাতিল, এমনকী কেন্দ্রীয় অনুমোদন বন্ধেরও হুমকি থাকতে পারে চিঠিতে।
শিক্ষার অধিকার আইন বলবৎ হয়েছে ২০১০-এর ১ এপ্রিল। লক্ষ্য ছিল সবার জন্য অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাকে বাধ্যতমূলক করা। তার জন্য প্রতি স্কুলে ছাত্রের অনুপাত অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে পরিকাঠামোগত নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলন মন্ত্রক। কিন্তু এ পর্যন্ত মাত্র দু’তিনটি রাজ্যই উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি, শিক্ষক নিয়োগ ও সব শিশুকে স্কুলে ভর্তি করানোর কাজ করে উঠতে পেরেছে।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্য এর জন্য সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। নয়তো স্কুলগুলির স্বীকৃতি বাতিল বা কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। দায়িত্ব পেয়েই নতুন মন্ত্রী রাজু জানিয়ে দিয়েছেন, “রাজ্যগুলির সামনে অনেক সমস্যা রয়েছে তা জানি। তবু চার মাসের মধ্যে সব রাজ্যকে ওই আইন রূপায়ণ করতে হবে। এ বিষয়ে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে কেন্দ্র এই কাজে রাজ্যগুলিকে সব ধরনের সাহায্য করবে।”
বাস্তব পরিস্থিতি কী বলছে?
মন্ত্রকের হিসেবে ২০১০ সালে গোটা দেশে প্রায় ১২ লক্ষ শিক্ষকের প্রয়োজন ছিল। আড়াই বছর পরেও সব রাজ্য মিলিয়ে প্রায় ২০-২৫ শতাংশ শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। আইনের শর্ত মোতাবেক যোগ্যতা নেই অর্ধেকের বেশি শিক্ষকের। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নেই, এমন শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ। প্রায় ৩৫ শতাংশ স্কুলে নির্দিষ্ট পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্যগুলি। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রকের কিছু কর্তা মনে করছেন, কাজ যতটা সম্ভব এগিয়ে নিতেই রাজু রাজ্যগুলিকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত হয়তো সময় বাড়াতেই বাধ্য হবে মন্ত্রক। |
|
|
|
|
|