টুকরো খবর |
রঞ্জনের নেতৃত্ব অস্বীকার, ফের ভাঙল এনডিএফবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
এনডিএফবি সংগঠনে ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ তৃতীয় বিভাজন ঘটে গেল। কারাবন্দি রঞ্জন দইমারির নেতৃত্ব না মেনে ও আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল আই কে সংবিজিতের নেতৃত্বাধীন এনডিএফবির সংগ্রামপন্থী গোষ্ঠী।
সংবিজিৎ গত কাল এক ই-মেল বিবৃতিতে জানান, ১৩ ও ১৪ নভেম্বর একটি অজ্ঞাত স্থানে এনডিএফবি সংগ্রামপন্থীদের সাধারণ সম্মেলন বসে। সেখানেই গঠিত হয় কার্যনির্বাহী কমিটি, এক বছরের জন্য। সর্বসম্মতিক্রমে সংগঠনের অন্তর্বতীকালীন সভাপতি হিসাবে মনোনীত হয়েছেন সংবিজিৎ স্বয়ং। উপ-সভাপতি বি নাইসন। সাধারণ সম্পাদক বি সাওরাইগৌড়া। সেনাবিভাগের মাথায় থাকছেন সংবিজিৎ নিজেই। সহকারী সেনাধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন জি বিদাই। বৈঠকে চারটি ‘কম্যান্ড’-এর কম্যান্ডিং অফিসারও বেছে নেন সংবিজিৎ।
নয়া গোষ্ঠীর প্রধান হিসাবে সংবিজিৎ জানিয়ে দেন, বৃহত্তর বড়োল্যান্ড গড়ার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম চলবেই। ২০০৮ সালে ধীরেন বড়োকে সভাপতি হিসাবে নির্বাচন করেছিল এনডিএফবির আলোচনাপন্থী গোষ্ঠী। শান্তি আলোচনা ও সভাপতি নির্বাচন না মেনে সংগঠন ছেড়েছিলেন রঞ্জন। চালিয়ে যান সশস্ত্র সংগ্রাম। তারই জেরে গুয়াহাটি, কোকরাঝাড়, বঙ্গাইগাঁওয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ও ৯১ জনের মৃত্যু। ওই নেতৃত্বেই ঘটে ভীমাজুলির হত্যাকাণ্ড, শোণিতপুর, কোকরাঝাড়ের গণহত্যা। ২০১০ সালের মে মাসে রঞ্জন গ্রেফতার হন। সেই থেকেই কারাবন্দি তিনি। ইতিমধ্যেই রঞ্জন শান্তি আলোচনার পক্ষে মতও দিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও বড়ো জঙ্গিদের হানাদারি থামছে না। এমনই এক হামলায় সম্প্রতি প্রাণ গিয়েছে চা বাগান মালিক তথা শিল্পপতি আদিলুর রহমানের। পুলিশ জানিয়েছিল, ঘটনার পিছনে সংবিজিৎদের হাত রয়েছে। তবে, সেই ঘটনার পরেও রঞ্জনপন্থীরা মেল পাঠিয়ে জানায়, সংগঠন শান্তি আলোচনার জন্য অপেক্ষা করছে তাই রক্তপাত ঘটাচ্ছে না। কিন্তু এ দিন সংবিজিৎরা সাফ জানিয়ে দিলেন, তৃতীয় পক্ষ হিসাবে রক্তপাতের রাস্তাই বেছে নিয়েছেন তাঁরা।
|
ত্রিপুরায় আরএসপি বিধায়কের রিট আবেদন খারিজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
শংসাপত্রের বৈধতা নিয়ে ত্রিপুরায় এ বার আরএসপি বিধায়ক পার্থ দাসের রিট আবেদনও খারিজ হয়ে গেল আদালতে। গুয়াহাটি হাইকোর্টের ইম্ফল ডিভিশন বেঞ্চে বিচারপতি টি এন কে সিংহ গত কাল পার্থবাবুর রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন। সিপিএমের দুই বিধায়ক শঙ্কর দত্ত এবং তপন দাসের পর এ বার আরএসপি বিধায়ককে নিয়েও আসন্ন বিধানসভা ভোটের মুখে বড়সড় অস্বস্তির মুখে ত্রিপুরার বামফ্রন্ট সরকার। বেঞ্চের রায়ের প্রতিলিপি না এলেও জানা গিয়েছে, আদালত ত্রিপুরার স্টেট লেভেল স্ক্রুটিনি কমিটির সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেনি। আদালত জানিয়েছে, পার্থ দাসের তফসিলি সার্টিফিকেটটি সঠিক নয়। এ কথা জানান ত্রিপুরার অ্যাডভোকেট জেনারেল দীপকপ্রকাশ কুন্ডু।
২০০৮-এ শালগড়া বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচিত হওয়ার পর পার্থ দাসের তফসিল শংসাপত্রটি ‘জাল’ বলে পুরপরিষদে যে অভিযোগ জমা পড়েছিল তারই ভিত্তিতে সদর এসডিএম বিধায়ককে একটি ‘শো কজ’ নোটিস ধরায়। নোটিসকে ‘চ্যালেঞ্জ’ জানিয়ে পার্থ দাস গুয়াহাটি হাইকোর্টের আগরতলা বেঞ্চে তখন একটি রিট আবেদন করেন। তা ছাড়া, ক’মাস আগে স্টেট লেভেল স্ক্রুটিনি কমিটি আরএসপি বিধায়ক পার্থ দাসের তফসিল শংসাপত্র ‘অবৈধ’ বলে জানিয়ে দিয়েছিল। সেই আবেদনকেই হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ায় স্ক্রুটিনি কমিটির সিদ্ধান্তই বহাল রইল।
বেঞ্চের রায়ের প্রেক্ষিতে বিরোধী দল কংগ্রেস রাজ্যে নতুন উদ্যমে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। রাজ্যের স্ক্রুটিনি কমিটির সিদ্ধান্তের পর থেকেই প্রদেশ কংগ্রেস পার্থ দাস-কাণ্ডে বহু বার ধিক্কার মিছিল বের করে। কংগ্রেসের এসসি সেলের কনভেনার সুবোধ দাসের নেতৃত্বে আজও কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, পার্থ দাসের পদত্যাগ এবং গ্রেফতারের দাবিতে ধিক্কার মিছিল বের করেন।
এ দিকে পার্থ দাস বলেন, ‘‘আমার রিট আবেদনটি খারিজ হয়ে গিয়েছে, শুনেছি। আদালতের সিদ্ধান্তের কোনও কপি এখনও পাইনি। আদালতের নির্দেশ জানার পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে। উচ্চ আদালতে আবেদন করব। দলেও আলোচনা হবে।’’
|
আর্থিক দুর্নীতি, অসমে প্রাক্তন আমলার কারাদণ্ড |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
হিসাব বহির্ভূত অর্থে স্বনামে-বনামে প্রচুর সম্পত্তি করা-সহ নানা রকম আর্থিক দুর্নীতির দায়ে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হল অসম সরকারের ‘বিতর্কিত’ প্রাক্তন আধিকারিক সঙ্ঘমিত্রা ভরালির। আজ গুয়াহাটির বিশেষ আদালতের বিচারপতি এম মজিদ কারাবাসের সঙ্গে দশ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছেন এই মহিলাকে। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্ঘমিত্রাকে আদালত থেকেই কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অসমের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি আদালত অসমের মুখ্য সচিব, মহারাষ্ট্রের মুখ্য সচিব ও পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছে, তিন মাসের মধ্যেসঙ্ঘমিত্রার মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটের দখল অসম সরকারকে নিতে হবে।
১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল অবধি অসম বিধানসভার সহকারী ভাষা অফিসার ছিলেন সঙ্ঘমিত্রা। উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শিল্পী হিসাবেও যথেষ্ট পরিচিতি আছে তাঁর। দীর্ঘদিন মুম্বইয়ে থাকা সঙ্ঘমিত্রার ওই শহরে একাধিক গানের স্কুলও রয়েছে। অসম গণ পরিষদের বর্তমান সভাপতি প্রফুল্ল মহন্ত যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সে সময় মহন্তর হাত ধরে সঙ্ঘমিত্রা নামে-বেনামে বহু সম্পত্তি করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের সূত্রেই দূর্নীতি দমন শাখা সঙ্ঘমিত্রার বিরুদ্ধে ২০০১-এ তদন্ত শুরু করে। ১১ বছর ধরে অসম, মহারাষ্ট্র ঘুরে তদন্ত চালাতে হয়েছে তদন্তকারী অফিসারকে। আদালতে হাজির না হওয়ায় এই বছর এপ্রিল মাসে সঙ্ঘমিত্রার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এপ্রিলে জামিন পান তিনি। নভেম্বরে চার্জশিট জমা পড়ে। আজই রায় দিল আদালত।
তদন্তের আদেশ। গুয়াহাটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা জেলের বাইরে ঘোরাফেরা করছে, বাইরের হোটেলে খাবার খাচ্ছে, অর্থের বিনিময়ে অন্যায্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে বলে সংবাদমাধ্যমে ছবি ও সংবাদ ফাঁস হওয়ার পরে,বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
|
২৬ তারিখ ফাঁসি হলেই ভাল হত, বলছে দেবিকারা |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
চার বছর আগের সেই দিনের বিভীষিকা এখনও তার স্মৃতিতে। ২৬/১১। তারিখটা হয়তো সারা জীবন মনে রাখবে ১৩ বছরের দেবিকা রোতওয়ান। সে দিন ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাসে বাবা-মায়ের হাত ধরে ট্রেনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিল দেবিকা। হঠাৎই গুলি লাগে পায়ে। কসাবের ফাঁসির খবর শুনে উচ্ছ্বসিত দেবিকার আফশোস একটাই, “কেন কসাবকে সবার সামনে ফাঁসি দেওয়া হল না? তবু আমি খুশি। ভীষণ খুশি। ফাঁসি যখন হলই তখন এই ২৬ নভেম্বর হলে ভাল হত।’ তবে ভীসম মনসুখানির মত একটু অন্য। তাজ হোটেলে প্রবল গুলির বৃষ্টি থেকে কোনও মতে বেঁচে ফিরেছিলেন তিনি। তবু কসাবের ফাঁসি তাঁর কাছে রাজনীতির খেলা ছাড়া আর কিছুই নয়। নরিম্যান হাউসের উল্টো দিকেই কুরেশ জোরাবির বেকারির দোকান। চার বছর আগে যে ৯২টি গুলি সেই দোকান এ ফোঁড়-ও ফোঁড় করে দিয়েছিল এখনও সেগুলির ক্ষত স্পষ্ট। কসাবের ফাঁসির খবরে তিনি খুশি। তবে ২৬/১১-র যে ষড়যন্ত্রীরা পাকিস্তানে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে, তাদের ফাঁসির অপেক্ষায় রয়েছেন কুরেশ জোরাবি। ওসামা বিন লাদেনকে যে ভাবে শিক্ষা দিয়েছে আমেরিকা, সেটা থেকে ভারতের শিক্ষা নেওয়া উচিত বলেও সাফ জানান তিনি। তাজ থেকে বেঁচে ফেরা মুকেশ অগ্রবাল মনে করেন, বড্ড দেরি হল। ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল চার বছর আগেই। কসাবদের ছোড়া ৩টি গুলি লেগেছিল অনামিকা গুপ্তর পেটে। ৪০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে নতুন জীবন পেয়েছেন। তিনিও মনে করেন, কসাবকে ফাঁসি দেওয়া উচিত ছিল এই মাসের ২৬ তারিখেই। কসাব এবং তার সঙ্গীদের হাতে যে পুলিশকর্মীরা প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁদের জন্য এটাই হতো উপযুক্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি।
|
কসাবকে গুলি করে গর্বিত সঞ্জয় |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
সাব-ইনস্পেক্টর তুকারাম ওম্বলেকে মহম্মদ আজমল কসাবের হাতে প্রাণ দিতে দেখেছিলেন ইনস্পেক্টর সঞ্জয় গোভিলকর। তাঁর গুলিতেই আহত হয় কসাব। আজ তিনি গর্বিত, কসাবকে জীবিত ধরেছিলেন বলে। কসাবকে ধরতে গিয়ে তুকারামের প্রাণহানি এখন ইতিহাস। কসাবকে ধরে পেটাতে শুরু করেছিলেন সঞ্জয় ও তাঁর সহকর্মীরা। তখনই সঞ্জয়ের মনে হয়, কসাবকে জীবিত ধরাই ভাল। পরের চার বছর তাঁর সহকর্মীরা বার বার বলেছেন, কসাবকে পিটিয়ে মেরে ফেলাই উচিত ছিল। তবে উচ্চপদস্থ অফিসাররা তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। সঞ্জয়ের বক্তব্য, কসাবকে মুম্বই পুলিশ হাতে না পেলে পাকিস্তানে ষড়যন্ত্রের পুরো বিষয়টিই অস্বীকার করত ইসলামাবাদ। কসাব ধরা পড়ায় পাকিস্তানকে চাপ দিতে পেরেছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় নাগরিকদের মতোই আইনজীবীর সাহায্য পেয়েছে কসাব। সঞ্জয় তাতে খুশি। কারণ, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত নিজের মর্যাদা বজায় রাখতে পেরেছে।
|
ডিমা হাসাওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু জওয়ানের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
ফের জঙ্গি হামলা অসমে ডিমা হাসাও জেলায়। দুপুরে মাহুর থানার ইমপুই বস্তি এলাকায় জঙ্গিদের ঘটানো বিস্ফোরণ এবং পাহাড়ের উপর থেকে চালানো ঝাঁক ঝাঁক গুলিতে গুরুতর ভাবে জখম হন ১৫ জন সেনা জওয়ান। চারজনকে হেলিকপ্টারে ইম্ফল পাঠানো হয়। পথেই মারা যান আর রাও নামে এক জওয়ান। পুলিশ সুপার মুগ্ধজ্যোতি মহন্ত জানান, জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়ে মাদ্রাজ রেজিমেন্টের ৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ অভিযানে নামেন। মাহুর থানার ইমপুই বস্তিতে ঢোকার মুখে জঙ্গিরা জওয়ানদের তাগ্ করে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে পাহাড়ের ওপর থেকে চলে টানা গুলিবর্ষণ। জওয়ানরাও পাল্টা জবাব দেন। তবে তাঁরা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে উঠতে উঠতে বন্দুকধারী জঙ্গিরা জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে পড়ে। এই সংঘর্ষে চার সেনা জওয়ান গুরুতর ভাবে জখম হন। হেলিকপ্টারে উঠিয়েতাঁদের ইম্ফলে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান একজন। অল্পস্বল্প আহত ১১ জওয়ানকে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইমপুই বস্তি নাগা অধ্যুষিত বলে এসপি মহন্তের অনুমান, বন্দুকধারীরা এনএসসিএন (আই এম)-এর ক্যাডার। তিনি জানান, পরে অতিরিক্ত জওয়ানদের নিয়ে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে তল্লাশি চলছে।
|
মূর্তি-মুখোশের বিশেষ গ্যালারি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
রাজ্য সংগ্রহশালায়, মূর্তি ও মুখোশের জন্য বিশেষ গ্যালারি তৈরি হচ্ছে। অসমে রাজ্য সংগ্রহশালাগুলির অধিকর্তা ওয়াই এস উংলেংটন জানান, সংগ্রহশালায় শতাধিক মূর্তি ও প্রতিকৃতি রয়েছে। তার মধ্যে অনেকগুলি বহু বছর পূর্বে সংগৃহীত। কিন্তু উপযুক্ত স্থানের অভাবে দর্শকদের প্রদর্শনের জন্য সেগুলি রাখা যাচ্ছিল না। নতুন গ্যালারি সেই অভাব মেটাবে। এই ব্যাপারে আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক এবং সাধারণ মানুষ কাছ থেকে এই জিনিসগুলি দেখতে পাবেন। গ্যালারির ১০টি প্রকোষ্ঠে রাখা থাকছে, শঙ্কদেবের প্রচলন করা ভাওনা নাটকের আবশ্যক অঙ্গ, বিভিন্ন ধরনের মুখোশ ও কাঠ খোদাইয়ের বিভিন্ন মূর্তি। রাজা বাণের মুখোশ, হনুমান, বিষ্ণু, বুদ্ধ, পরশুরাম, নৃসিংহর কাঠের প্রতিকৃতিগুলি এই মাসের মধ্যেই দর্শকের সামনে হাজির করা যাবে বলে কর্তৃপক্ষের আশা। সংগ্রহশালার জন্য যোরহাটের সামাগুড়ি সত্র ২৭টি মুখোশ তৈরি করছে। সংগ্রহশালার আকর্ষণ বাড়াতে গুয়াহাটির স্কুলগুলিতে সচেতনতামূলক কর্মশালা করার কথাও ভাবা হচ্ছে।
|
শিলচরে জামিনে মুক্তি মিলল আট ছাত্রের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
বেআইনি ভাবে সড়ক অবরোধ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ভাঙচুর এবং গুরুচরণ কলেজে হামলার ঘটনায় ধৃত ছাত্রদের আজ শিলচর সদর থানা থেকে ব্যক্তিগত জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কাল রাতে সব মিলিয়ে আট জনকে ধরে আনা হয়। এদের মধ্যে ছয় জন গুরুচরণ কলেজের, বাকি দু’জন রাধামাধব কলেজের। আট জনের অভিভাবকই আজ বিকেলে থানায় এসে মুচলেকা দিয়ে ছেলেদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান। অন্য দিকে, কাল পুলিশের লাঠি চালানোর সময় পায়ের চাপে জখম কাছাড় কলেজের রঞ্জনা লস্করের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। অধ্যক্ষ দেবাশিস কর তার বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে এসেছেন। পরীক্ষা পিছনোর যে দাবিকে ঘিরে কাল এত সব ঘটনা ঘটল, আসাম বিশ্ববিদ্যালয় তা খারিজ করে দিয়ে স্নাতক স্তরের প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম সেমেস্টারের পরীক্ষা শুরুর জন্য প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে। জেলা প্রশাসন তাদের পূর্ণ সহায়তার কথা জানিয়েছে। কাল রাতে জেলাশাসক অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন।
|
দুর্ঘটনায় মৃত্যু দুই স্কুলছাত্রের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
স্কুল থেকে অটোয় চেপে বাড়ির ফেরার পথে অটো রিকশা দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুই ছাত্রের। গুরুতর জখম হয়েছে অটোর যাত্রী আরও আটজন ছাত্র। জখম হয়েছেন দুর্ঘটনা কবলিত অটো এবং এক মোটরগাড়ির চালকও। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আজ বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ, রাঁচির লাগোয়া খুঁটির মুরহুর কাছে। মৃত দুই ছাত্রের নাম রোহিত ভেঙরা (১২) এবং অমন পূর্তি (১৩)। আহতদের চিকিৎসা চলছে রাঁচির রিমস হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রের খবর, একটি স্কুলের ১০ জন ছাত্র একটি অটোয় চেপে বাড়ি ফিরছিল। মুরহুর কাছে উল্টোদিক থেকে আসা একটি মোটরগাড়ির সঙ্গে ছাত্রবোঝাই অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গাড়ির ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় অটোটি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে দুই ছাত্রের। গুরুতর জখম হয়েছে অটোর আরোহী আট জন ছাত্র। এই দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন অটো এবং ওই মোটরের চালকও। ঘটনার পরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
|
কড়া সতর্কতা জারি করা হল পশ্চিমবঙ্গে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পাক জঙ্গি আজমল কসাবের ফাঁসির প্রেক্ষিতে রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক বিভাগ পশ্চিমবঙ্গকে সতর্ক থাকতে বলেছে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করতেও বলা হয়েছে। এ দিন সকালে কসাবের ফাঁসির কথা সরকারি ভাবে ঘোষণা করার পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ওই সতর্কবার্তা জারি করে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে অসমে অশান্তির পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই ঘটনার পরে রাজ্যকে সতর্ক থাকার জন্য দফায় দফায় সতর্কবার্তা জারি করে আসছে তারা। কসাবের ফাঁসির পরে নতুন করে সতর্কবার্তা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ওই সতর্কবার্তা পাওয়ার পরেই মহাকরণে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের কর্তারা বৈঠকে বসেন। রাজ্যের বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকাকে চিহ্নিত করে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ওই সব এলাকায় পুলিশকে টহল দিতে বলা হয়েছে।
|
মেয়ে-স্বামীকে হারিয়ে মুম্বই-ই বাড়ি কিয়ার |
সংবাদসংস্থা • নিউ ইয়র্ক |
জঙ্গিদের গুলি খেয়ে তেরো বছরের মেয়ে নাওমিকে চোখের সামনে ছটফট করে মরতে দেখেছিলেন আমেরিকার বাসিন্দা কিয়া শের। মুম্বইয়ের ওবেরয় হোটেলে সে দিন কিয়া হারিয়েছিলেন স্বামী অ্যালানকেও। গত দু’বছরে মুম্বইকেই দ্বিতীয় বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন কিয়া। কসাবের ফাঁসির খবর পেয়ে বললেন, “একটা অর্ধসমাপ্ত বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। এ বার শান্তিতে এগোতে পারবে শহরটা।” আর্থার জেলে যখন কসাব ছিল তখন তাকে চিঠিও লিখেছিলেন কিয়া। তিনিই জানালেন, ২৫ নভেম্বর শান্তি মিছিল বের হবে মুম্বইয়ের বুকে। যে তিনটি জায়গায় গর্জে উঠেছিল কসাব ও তার সঙ্গীদের বন্দুক, সেখান থেকেই শুরু হবে। শেষ হবে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার কাছে। অন্তত হাজার খানেক পড়ুয়া যোগ দেবেন এই মিছিলে।
|
কেন ২১ নভেম্বর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কসাবের ফাঁসির জন্য ২১ নভেম্বরের দিনটিকেই কেন বেছে নেওয়া হল? প্রশাসন সূত্রে খবর, কসাবের প্রাণ ভিক্ষার আর্জি যখন রাষ্ট্রপতি বিবেচনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ফেরত পাঠান, দিল্লি তা পাঠিয়ে দেয় মহারাষ্ট্রের কাছে। সেই আবেদন খারিজ করে কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়ার সময়ই তারা বলে দেয়, ফাঁসি হোক ২১ নভেম্বর। তা মেনেই ফাঁসি হয়েছে।
|
গোপন ফাঁসুড়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুণে |
যে ফাঁসুড়ে ইয়েরওয়াডা জেলে কসাবের ফাঁসি দেন, তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। এই কাজের জন্য তাঁকে ৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। ফাঁসি দেওয়ার কয়েক মিনিট আগেও তিনি জানতেন না, কাকে ফাঁসি দিতে চলেছেন। এই গোপন অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন এক্স’। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে ধনঞ্জয়কে ফাঁসি দেওয়ার জন্য ফাঁসুড়ে নাটা মল্লিককে ১৮ হাজার টাকা ও তাঁর নাতিকে অস্থায়ী পদে চাকরি দেওয়া হয়।
|
সিদ্ধান্ত সাত দিনে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
মাত্র ২০ দিনে সিদ্ধান্ত নিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ভারতের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম প্রাণ ভিক্ষা খারিজের সিদ্ধান্ত। ১৬ অক্টোবর তাঁর কাছে প্রাণ ভিক্ষা খারিজের আবেদন জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ৫ নভেম্বর তিনি সেই আবেদন খারিজ করে দেন। ফাঁসি নিয়ে দ্রুততম (৭ দিনে) সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শঙ্করদয়াল শর্মা।
|
নিরাপত্তার খরচ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কসাবের নিরাপত্তার জন্য ৩৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য ২০০৯ সালে ভারত-তিব্বত সীমান্তরক্ষী পুলিশের ৩০০ জনের যে দলটিকে ডাকা হয়েছিল, শীঘ্রই তাঁদের ফেরত পাঠানো হবে বলে বাহিনী সূত্রে জানানো হয়েছে।
|
বিস্মিত কৌঁসুলি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বুধবার ভোরে মুম্বই হামলার মূল অভিযুক্ত আজমল কসাবকে ফাঁসি দেওয়া হল। তবে কসাবের কৌঁসুলি আমিন সোলকার ও ফারহানা শাহ তার ফাঁসির সিদ্ধান্তে ততটা বিস্মিত নন। তার ফাঁসিকে ঘিরে যে গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছিল, সেই বিষয়ে তাঁরা অনেক বেশি বিস্মিত।
|
কড়া পাহারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুণে |
কসাবের ফাঁসির খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অগণিত মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করে জেলের সামনে। জেলের বাইরে কড়া পাহারা মোতায়েন ছিল। শিব সেনার কিছু সদস্য ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান তোলে। তারা আফজল গুরুরও ফাঁসির দাবি করে।
|
বাড়াবে মনোবল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শবরিমালা |
কসাবের ফাঁসি সেনার মনোবল ও সাহসিকতা বাড়াবে, জানান প্রাক্তন এনএসজি কমান্ডো পিভি মণীশ। ২৬/১১-র হামলায় মাথায় চোট পেয়েছিলেন তিনি।
|
দ্বন্দ্ব নেই, দাবি গগৈয়ের |
গত ৪৮ ঘণ্টায় নতুন করে কোনও হিংসার খবর নেই বড়োভূমিতে। আজ, কোকরাঝাড়ে কার্ফু সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা অবধি শিথিল করা হয়েছে। অসমের আদিবাসী জনজাতিকরণ দাবি সমিতির যৌথ মঞ্চ যে ৩৬ ঘণ্টা বন্ধ ডেকেছে, গোসাইগাঁওতে তার প্রভাব পড়লেও বাকি অঞ্চল স্বাভাবিক ছিল। এ দিকে, বড়ো স্বশাসিত পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য-সহ দুই বড়ো বিধায়ককে গ্রেফতার ও কংগ্রেস-বিপিএফ-এর মন কষাকষির অবসান ঘটাতে তৎপর হলেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। গত কাল, নিজের বাসভবনে বিপিএফ নেতাদের বৈঠকে ডেকেছিলেন গগৈ। বৈঠকের শেষে গগৈ জানান, কংগ্রেস-বিপিএফ-এর মধ্যে কোনও বৈরিতা নেই। ভুল বোঝাবুঝিও মিটে গিয়েছে।
|
এক অপহৃতের মুক্তি |
এনএলএফটি জঙ্গিরা তিন গ্রামবাসীকে অপহরণ করেছিল। তাঁদের মধ্যে এক জন আজ ফিরে এসেছেন। তিন জনই দরিদ্র জুমিয়া পরিবারের। ঘটনাটি ঘটে ত্রিপুরার উত্তরে রাইস্যাবাড়িতে। সোমবার পাঁচ সশস্ত্র জঙ্গি রাইস্যাবাড়ির পূর্ব সিং পাড়ায় ঢুকে আগ্নয়াস্ত্র দেখিয়ে চিত্তরঞ্জন ত্রিপুরা (১৫), কেরেন্দ্র ত্রিপুরা (১৬), এবং কান্তি ত্রিপুরাকে (৩৭) তুলে নিয়ে যায়। প্রতিবাদে সিপিএম আজ এলাকায় ১২ ঘণ্টা বনধ পালন করেছে। পুলিশ জানায়, অপহৃতদের এক জনকে জঙ্গিরা আজ ছেড়ে দিয়েছে। বাকি দু’জনের এখনও কোনও খোঁজ নেই।
|
আসা যাওয়া |
চার বছর আগে বুধবারেই ৯ সঙ্গীকে নিয়ে মুম্বই ঢুকেছিল আজমল কসাব। তার ফাঁসিও হল সেই বুধবারেই। সঙ্গীরা অবশ্য আগেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছিল। |
|