বিরোধিতায় এগিয়ে থাকতে অনাস্থাই কৌশল মমতার
বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী সংসদে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব না আনার পরামর্শ দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী কাল সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবই আনছে তাঁর দল। বিজেপি, বাম অথবা অন্যান্য কংগ্রেস-বিরোধী দলকে পাশে না পেলে মাত্র ১৯ জন সাংসদ নিয়ে যে অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীতই হয় না, এ কথা বিলক্ষণ জানেন মমতা। তবু কংগ্রেস-বিরোধিতায় আর সকলের চেয়ে এগিয়ে থাকতে এই কৌশলই নিচ্ছেন তিনি। আজ স্পিকারের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দলের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। ১৮৪ ধারায় এফডিআই নিয়ে ভোটাভুটি-সহ বিতর্ক চেয়ে নোটিস দিয়েছেন বিজেপি ও বাম সাংসদরাও। কসাবের ফাঁসির পরে সরকারি সাংসদরাও বুক চিতিয়ে তার মোকাবিলায় নামতে তৈরি। এই পরিস্থিতিতে কাল সংসদ শুরু হলেও অধিবেশন ভন্ডুল হয়ে যাওয়ার ঘোর আশঙ্কা রয়েছে।
কংগ্রেসের দীপা দাশমুন্সি বলেছেন, “মমতা তো সবে দেড় বছর রাজ্যের দায়িত্ব পেয়েছেন। তাঁর প্রশাসনিক যোগ্যতাই এখনও পরীক্ষিত নয়। তার আগেই তাড়াহুড়ো করে জাতীয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিতে উৎসাহী! এর কারণটা কী?”
মমতা যেমন জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসকে পাখির চোখ হিসেবে দেখছেন, বিজেপি-ও তেমন সংসদে কংগ্রেসকে চাপে রাখার পথ থেকে সরছে না। দলের দুই নেতা ইতিমধ্যেই খুচরোয় বিদেশি লগ্নির বিষয়ে আনন্দ শর্মার বিরুদ্ধে অধিকার ভঙ্গের নোটিস দিয়েছেন। দলের প্রায় দু’ডজনের বেশি সাংসদ ১৮৪ ধারায় এফডিআই নিয়ে ভোটাভুটি-সহ বিতর্কের নোটিস দিয়েছে। এই অবস্থায় লোকসভা কাল শুরু হলেও কতটা সচল থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। কারণ বিজেপি নেতৃত্বও এই সুযোগে কংগ্রেস-বিরোধিতার মঞ্চটিকে প্রসারিত করে তার রাশ নিজের হাতে রাখতে চাইছেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই পরিস্থিতিতে মমতা-বিজেপি ঘনিষ্ঠতার যে অভিযোগ উঠেছে, তা খণ্ডন করতে মমতা কিন্তু সে ভাবে উদ্যোগী নন। বিজেপি অনাস্থায় সঙ্গী না হলেও তাদের বিরোধিতায় সরব হননি তৃণমূল নেত্রী। বরং তিনি কংগ্রেসকেই হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন, বিজেপি-র জুজু দেখিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যাবে না!
দু’বছর আগে লোকসভায় জিতে আসার পর থেকেই সংসদে কোনও নির্দিষ্ট ঘর পায়নি তৃণমূল। দলীয় সাংসদদের বক্তব্য, এ ব্যাপারে ধারাবাহিক ভাবে আর্জি-অভিযোগ জানিয়েও ফল হয়নি। জোটধর্মের খাতিরে বিষয়টিকে মেনে নেওয়া হয়েছিল। তখন রেলমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ঘরেইবৈঠক সারতেন তৃণমূল সাংসদেরা। সরকার থেকে সমর্থন তোলার পর সে ঘরটিও গিয়েছে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানালেন, “আমাদের তো ঘর নেই, তাই স্থির হয়েছে কাল আমরা গাঁধী মূর্তির পাদদেশেই বসব! খোলা আকাশের নীচেয় ও’টিই হবে অস্থায়ী অফিস!”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.