|
|
|
|
জাদুঘর ও ভিক্টোরিয়া |
কর্তৃপক্ষকে তলব সুপ্রিম কোর্টের |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরের অধিকর্তা ও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কিউরেটরকে ১০ জানুয়ারি আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
টিপু সুলতানের তরোয়াল কিংবা তালপাতায় লেখা লর্ড ক্লাইভের দলিল, এই সব ঐতিহাসিক ও প্রত্নসামগ্রীর কোনটি কী অবস্থায় ওই দুই জায়গায় রাখা আছে, সেগুলির সুরক্ষায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং কোন নিদর্শনগুলি খোয়া গিয়েছে এ সবের সবিস্তার তথ্য চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ জারি করেছিল ২০০৮-এর ৭ এপ্রিল। কিন্তু প্রায় সাড়ে চার বছরের বেশি কেটে গেলেও শীর্ষ আদালতের কাছে ভিক্টোরিয়া ও জাদুঘর কর্তৃপক্ষ, কেউই কিছু জানাননি। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জাদুঘরের অধিকর্তা এবং ভিক্টোরিয়ার কিউরেটরকে ১০ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে বলে নির্দেশ জারি করেছে। সেই সঙ্গে অমূল্য সম্পদগুলি এই দু’জায়গায় কী অবস্থায় আছে, তা সবিস্তার জানিয়ে জাদুঘর ও ভিক্টোরিয়া কর্তৃপক্ষকে হলফনামা পেশের নির্দেশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এস রাধাকৃষ্ণণ ও বিচারপতি দীপক মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ। এক মাসের মধ্যে ওই হলফনামা পেশ করতে হবে।
বিশ্বভারতী থেকে নোবেল চুরির পরে ২০০৪-এর এপ্রিলে রাজ্যের সমাজ ও পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। তাঁর আবেদনে সুভাষবাবু জানান, দেশে বিভিন্ন সংগ্রহশালায় থাকা এই ধরনের সম্পদ আর্থিক অঙ্কে মূল্যায়নের ঊর্ধ্বে এবং সেগুলির যথাযথ তালিকা থাকা প্রয়োজন। ২০০৮-এর মার্চ মাসে ওই মামলাতেই একটি পৃথক হলফনামা পেশ করে তিনি জানান, কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরে ২০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে সিবিআই, জাদুঘর ও ভিক্টোরিয়া থেকে গত ১০ বছরে বিভিন্ন সামগ্রী খোয়া গিয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই ওই বছরের ৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট সলিসিটর জেনারেলের মাধ্যমে জাদুঘর ও ভিক্টোরিয়া কর্তৃপক্ষকে সবিস্তার তথ্য জানাতে বলেছিল। কিন্তু তথ্য আসেনি।
জাদুঘরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকর্তা অনুপ মতিলাল বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ব্যাপারে এখনও জানি না। এমন নির্দেশ দিয়ে থাকলে অবশ্যই দেখা হবে।” ভিক্টোরিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কিউরেটর স্বপন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “আমি দিল্লিতে। নির্দেশ না-দেখে মন্তব্য করব না।” সুভাষবাবু বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের এ দিনের নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।” |
|
|
|
|
|