|
|
|
|
নিরাপত্তা শিকেয়, অনুমতি ছাড়াই চলছে দিঘার হোটেল |
সুব্রত গুহ • দিঘা |
‘অগ্নিপরীক্ষা’য় উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব নয়। তাই প্রশাসন সময়সীমা বেঁধে দেওয়া সত্ত্বেও ‘সরাই লাইসেন্সে’র (হোটেল চালানোর অনুমতি) আবেদন জানায়নি দিঘার ৯০ শতাংশ হোটেল। এই পরিস্থিতিতে ‘অবৈধ’ হোটেলগুলির সরেজমিন পরিদর্শন শুরু করল ব্লক প্রশাসন। মঙ্গলবার দিঘার বেশ কয়েকটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে আধিকারিকদের। রামনগর ১-এর বিডিও তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “নিজেদের টু স্টার, থ্রি স্টার বলে বিজ্ঞাপনে প্রচার করে, এমন হোটেলেও অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নেই। একটাই সিঁড়ি। রান্নাঘর, জেনারেটর বিপজ্জনক ভাবে পাশাপাশি রয়েছে। অনেক হোটেলে ফুড লাইসেন্স ছাড়াই চলছে রেস্তোরাঁ।”
অভিযোগ, ‘সরাই লাইসেন্স’ ছাড়াই দিঘায় হোটেল-লজ মালিকরা ব্যবসা করে আসছেন বছরের পর বছর। রাজ্যে পালাবদলের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘাকে আন্তর্জাতিক পযর্টন মানচিত্রে তুলে আনার ইচ্ছা প্রকাশ করলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এর পরেই জেলা প্রশাসন ও দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ যৌথ নির্দেশিকা জারি করে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ‘সরাই লাইসেন্সে’র আবেদন করতে বলেন। তার জন্য পরিবেশ ও দমকল দফতরের অনুমোদন লাগে। হোটেল মালিকদের সহায়তা করতে উন্নয়ন পর্ষদ সাত দিনের শিবিরও করেছিল দিঘায়। লাভ হয়নি। দিঘার প্রায় ৪৫০টি হোটেল-লজের মধ্যে মাত্র ৫২টি ‘সরাই লাইসেন্সে’র জন্য আবেদন জানিয়েছে। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ইতিমধ্যেই দিঘার ১৯০টি হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে শো-কজ নোটিস পাঠিয়েছে। আরও ১০৪টি হোটেলে নোটিস পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পর্ষদের আধিকারিক সৌমেন পাল।
কোথায় সমস্যা হোটেল মালিকদের? প্রদীপ মুখোপাধ্যায়, হিমাংশু প্রধান, তপন মাইতি, সাধন দে, দীপক ঘোষ প্রমুখ হোটেল মালিকরা জানান, তাঁরা হোটেল তৈরি করার সময় দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নিয়ম মেনেই করেছিলেন। তখন দু’টো সিঁড়ির কথা বলা হয়নি। এখন দ্বিতীয় সিঁড়ি তৈরি করা মুশকিল। দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্মসচিব বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, “আগে হোটেল নির্মাণে এত কড়াকড়ি ছিল না। এখন আচমকা প্রশাসন সরাই লাইসেন্স নিতে বলছে। হোটেল মালিকদেরও কিছুটা সময় প্রয়োজন।” |
|
|
|
|
|