ভূতেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছবি করা অনীক দত্তের সঙ্গে ভূতেদের ঠিক কতটা বন্ধুত্ব? ঝটিতি জবাব এল, “সিনেমার মতোই স্পুকবুকে অনেককেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলাম।
অনেকে অ্যাক্সেপ্টও করেছেন।” বক্তা পরিচালক স্বয়ং।
সদ্য রুপোলি পর্দার দুনিয়ায় পা রাখা নাইজেল আকারা ইতিমধ্যেই মহিলা ফ্যানদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয়। তাঁদের অগুনতি প্রেমের প্রস্তাব কী করে সামলান বলতে গিয়ে রীতিমতো লজ্জায় লাল। টিভি তারকা তিলোত্তমা দত্ত সাফ জানিয়ে দিলেন, প্রথম সিরিয়ালে যতই নরমসরম নায়িকা হয়ে থাকুন না কেন, এমনিতে নেগেটিভ চরিত্রই তার বেশি পছন্দের “রাস্তায় দেখে সবাই ভয় পাবে, রাগ করবে, তবে না মজা!” |
এমনই টুকরো টুকরো হাসিঠাট্টা, সিরিয়াস আলোচনা সব মিলিয়েই জমে উঠেছিল তারাদের আড্ডা। বুধবার ভরদুপুরে, দেশপ্রিয় পার্কের ডি কে এস-এর প্রেক্ষাগৃহে যে আড্ডার সাক্ষী রইল ঘরভর্তি ভিড়। সৌজন্যে ‘বোরোপ্লাস আনন্দলোক পুরস্কার ২০১২ পাওয়ার্ড বাই পার্লে’। যে আড্ডায় অনীক, নাইজেল, তিলোত্তমাদের সঙ্গেই অংশ নিলেন এ বছর এবং আগের বছর এই পুরস্কারের নমিনেশন পাওয়া গায়ক অনুপম রায় এবং পরিচালক রাজ চক্রবর্তী।
অবশ্য সিরিয়াস কথাবার্তাও চলেছে পুরোদমে। বাংলা ছবির পাল্টে যাওয়া চরিত্র, নানা স্বাদের ছবির সংখ্যাবৃদ্ধি, গ্রাম-শহরের দর্শকদের ফারাকটা কমে আসা নিয়ে জোর আলোচনা করেছেন রাজ-অনীকেরা। অনুপম বলেছেন এক একটা ছবির গানের কথায়-সুরে নিজেকে ঘষেমেজে নেওয়ার কথা। আর নাইজেল? পিছনে ফেলে আসা অন্ধকার দুনিয়াটা থেকে আলোয় ফেরার গল্প। তার মতোই আরও যে সব বন্দিরা ফিরতে চায় সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে, তাঁদের সাহায্য করার কথা।
আসিফের সঞ্চালনায় জমজমাট এই আড্ডায় বাড়তি পাওনা ছিল অবশ্যই অনুপমের গান। |