পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে লোবা নিয়ে ধীর পায়ে এগোতে চায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট না হয়ে পড়ে, সে দিকেও সতর্ক হচ্ছে দল। তাই বিবদমান নানা গোষ্ঠীকে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে কলকাতার নিজাম প্যালেসে বৈঠক করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। ছিলেন আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকও। বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়, সিউড়ির বিধায়ক স্বপন ঘোষ, ও বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, সকলেই হাজির ছিলেন সভায়। ছিলেন বড়জোড়া খনি প্রকল্পের প্রতিবাদীদের প্রতিনিধিরাও।
মুকুল রায় বৈঠকে সকলকে সতর্ক করে দেন যে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বীরভূমের নেতারা যে সংবাদ মাধ্যমে পরস্পরের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিচ্ছেন, তাতে অখুশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় দ্বন্দ্ব মেটাতে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগী হয়েছেন। তাই আগে থেকেই ঠিক ছিল মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে বৈঠক শুরু হবে। শতাব্দী রায়, স্বপন ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, নানুরের বিধায়ক গদাধর হাজরা, বর্ধমানের কেতুগ্রামের বিধায়ক শাহনওয়াজ হোসেন। হাজির ছিলেন কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরাও। রাত পৌনে ১০টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে পৌঁছন অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম।
বৈঠকে মুকুল স্পষ্ট করে দেন যে, দল চাষিদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবে না। আলোচনা করে রাস্তা বার করতে হবে। আসেন ট্রান্স দামোদর কোল মাইন প্রজেক্টের প্রতিবাদী সংগঠনগুলি। তাঁদের প্রতিনিধি টিঙ্কু মণ্ডল জানান, তাঁদের কাছে অভিযোগ জানালে এক সপ্তাহের মধ্যে আলোচনা শুরুর আশ্বাস দেন মুকুলবাবু।
তবে দলীয় কোন্দল স্তিমিত করতে এই বৈঠক কতটা সফল হবে, তা স্পষ্ট নয়। কারণ বৈঠকে অনুব্রতের বিরুদ্ধে এককাট্টা ছিলেন শতাব্দী-স্বপন-আশিস-শাহনওয়াজ-গদাধরেরা। দলীয় নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, আগামী পঞ্চায়েত ভোটেও অনুব্রতকে সামনে রেখে লড়তে চায় দল। দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মদত দেওয়া চলবে না। |