পুণের জেলে বুধবার সাতসকালেই ফাঁসি হয়ে গিয়েছিল আজমল আমির কসাবের। সীমান্তের এ পারে খবরটা আসে একটু দেরিতেই। অথচ বিষয়টি নিয়ে একদমই হইচই করেনি পাক সংবাদমাধ্যম। উল্টে দেখা গেল, কসাবের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরেও পাক খবরের চ্যানেল আর কাগজের ওয়েবসাইটে গাজায় হামলা আর দেশের অভ্যন্তরীণ খবরেরই প্রাধান্য।
যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি চ্যানেল ‘রেডিও পাকিস্তান’ আর ‘জিও নিউজের’ মতো কিছু বেসরকারি চ্যানেল কসাবের মৃত্যুর খবর প্রচার করতে শুরু করে। তা-ও অতিরিক্ত সতর্কতার সঙ্গেই। কিন্তু ওই পর্যন্তই। দুপুরের পর থেকে ওই চ্যানেলগুলিতে দিনের বাছাই করা খবরের তালিকায় কসাবের ফাঁসির উল্লেখও ছিল না। ‘ডন’ এবং ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’-এর মতো প্রথম সারির পাক দৈনিকের ওয়েবসাইট শুধু মাত্র ফাঁসির ঘটনাটাই প্রকাশ করেছে। তাতে না আছে কোনও মন্তব্য, না কোনও বিশ্লেষণ।
কসাবের ফাঁসি নিয়ে কেন এত সংযত পাক সংবাদমাধ্যম? এই প্রশ্নটা স্বভাবতই উঠছে। ‘দ্য ফ্রাইডে টাইমস’-এর সম্পাদক রাজা রুমি বললেন, “এখানে একটা সাধারণ ধারণা ছিল যে, আফজল গুরুর মতো কসাবেরও ফাঁসি কখনও হবে না। কিন্তু হঠাৎ করে সেটা হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তান যেন একটা ধাক্কা খেয়েছে।” তবে সেই সঙ্গে রুমি কিন্তু এটাও জানালেন যে, বেশির ভাগ পাকিস্তানিই মুম্বই হামলার ঘটনার নিন্দা করেন। আর প্রমাণ পাওয়ার পরে তাঁরা যে ফাঁসির সমালোচনা করবেন, এটা ভাবা যায় না। প্রাণভিক্ষার আবেদনের সময় ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল কসাব। আজকের প্রতিবেদনে সে খবর ছেপেছে ‘ডন’। তারা লিখেছে, ‘মামলার শুনানি শুরুর সময় কসাব বলেছিল, তাকে যথাযথ আইনি সাহায্য দেওয়া হয়নি। এমনকী তার প্রতি উপযুক্ত ন্যয়বিচারও হয়নি’। তবে কসাবের উদ্ধৃতির অংশটুকুই তুলে দেওয়া হয়েছে। এর অতিরিক্ত কোনও ব্যাখ্যা কিন্তু তারা করেনি। |