মহম্মদ আজমল আমির কসাবের মৃত্যু তাদের পথ দেখাবে বলে মনে করছে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবা। মুম্বই হামলার পিছনে পাকিস্তানের এই জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত আছে বলে প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছে ভারত। কসাবের ফাঁসির পরে তাই লস্কর-ই-তইবার প্রথম প্রতিক্রিয়া জানতে আগ্রহী ছিল গোটা বিশ্বের সংবাদমাধ্যম। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে ফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লস্করের এক কম্যান্ডার বললেন, “কসাব ছিল এক জন নায়ক। আর ওর মৃত্যু অন্যান্য বিদ্রোহীকেও পথ দেখাতে সাহায্য করবে।”
মুম্বই হামলার একমাত্র ধৃত সন্ত্রাসবাদী কসাবের ফাঁসিতে স্তম্ভিত পাকিস্তানি তালিবান। পাক তালিবানের মুখপাত্র ইনশাউল্লাহ ইহসানের কথায়, “কসাবের মৃত্যু নিঃসন্দেহে বড় আঘাত। এবং একটা বড় ক্ষতি যে এক মুসলিম যুবককে ভারতের মাটিতে ফাঁসি দেওয়া হল।” এই সব মন্তব্যেই স্পষ্ট যে, এই ফাঁসিকে সামনে রেখেই এগোতে চাইছে লস্করের মতো জঙ্গি গোষ্ঠী। তার জন্য কসাবকে নায়কের জায়গা দিতেও পিছপা নয় তারা।
তবে কসাবের ফাঁসি নিয়ে আজ সংযত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী। ফাঁসির খবর প্রচার হওয়ার পর থেকে উপত্যকা ছিল শান্তই। আর খানিকটা উদাসীন সুরেই কাশ্মীরে লস্করের মুখপাত্র গজনাভি আজ বলেছেন, “আমরা এই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতেই চাই না। আমরা এর সমালোচনা করি না, আবার এই পদক্ষেপকে স্বাগতও জানাচ্ছি না।” অর্থাৎ নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্তের নিন্দা কিন্তু লস্করের কাশ্মীর শাখা করেনি।
একই প্রতিক্রিয়া হিজবুল মুজাহিদিনের মুখপাত্র সালিম হাশমির। তিনি জানিয়েছেন, মুম্বই হামলার প্রথম দিন থেকেই তাঁরা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। আজও করবেন না। কাশ্মীরের চরমপন্থী হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানিও জানালেন, প্রথম দিন থেকেই মুম্বই হামলার নিন্দা তাঁরা করে এসেছেন। তবে আজ নতুন করে কিছুই বলার নেই। |