মন্ত্রীর নাম করে বেআইনি মাইক বাজানোর অভিযোগে মাইত বাজেয়াপ্ত করেও ছটপুজো কমিটির এক কর্তাকে ছেড়ে দিল বর্ধমান থানা।
১৯ নভেম্বর থেকে বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জের কল্পতরু ময়দানে শুরু হয়েছে ছটপুজো উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান। ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত তা হওয়ার কথা। কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ও সেখানে যান।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে ওই ময়দানের অনুষ্ঠানেই বিকট শব্দে মাইক বাজানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় কিছু নাগরিক। পুলিশ গিয়ে দেখে, বিকট শব্দে মাইক বাজিয়ে নাচ চলছে চলছে। মাইক ব্যবহারের অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে উদ্যোক্তারা দেখাতে পারেননি। পুলিশ মাইক্রোফোন আটক করে নিয়ে যায়। উদ্যোক্তাদের একাংশের দাবি, অনুষ্ঠানে খোদ মন্ত্রী এসেছিলেন। তাই তাঁরা মাইক্রোফোন ব্যবহারের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। কিন্তু বুধবার সকালে শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার খোকন দাস বর্ধমান থানার আইসি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায়কে ফোন করে মাইক ছেড়ে দিতে বলেন বলে অভিযোগ। আইসি সে সময়ে উদ্যোক্তাদের মাইক্রোফোন ব্যবহার সংক্রান্ত অনুমতিপত্র নিয়ে দেখা করতে বলেন। সকাল ১০টা নাগাদ আলমগঞ্জ ছটপুজো কমিটির সম্পাদক সুনীল সিংহ থানায় যান। কিন্তু তিনি যে নথিপত্র দেখান, তাতে কোথাও মাইক্রোফোন ব্যবহারে মহকুমাশাসকের অনুমতিপত্র ছিল না। সে কারণে আটক হওয়া মাইক ছাড়া হবে না বলে আইসি জানিয়ে দেন।
পুলিশ সূত্রের দাবি, এর পরেই সুনীলবাবু ক্ষিপ্ত হয়ে কৈফিয়ত চাইতে থাকেন, যে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা খোকন দাসেরা উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ কী করে সেই অনুষ্ঠান প্রাঙ্গন থেকে মাইক বাজেয়াপ্ত করে? পরে অবশ্য সুনীলবাবু থানা ছেড়ে চলে যান। পুলিশও তাঁকে আটকায়নি। খোকনবাবুর দাসের তদ্বিরেই সুনীলবাবুকে ছাড়া হয়েছে পুলিশের একাংশের দাবি। যদিও খোকনবাবু তা অস্বীকার করে বলেন, “আমি থানায় যাইনি। এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। আমায় অকারণে জড়াবেন না।” বারবার চেষ্টা সত্ত্বেও রবিরঞ্জনবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। |