|
|
|
|
স্কুলেই যায়নি নব্বই শতাংশ শিশু-শ্রমিক |
পড়ুয়া বাড়াতে সরকারি ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় অধিকাংশ শিশু শ্রমিকের কাছেই শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। খোদ শ্রম দফতরের সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। জেলার সহকারী শ্রম কমিশনার তপন ভট্টাচার্য বলেন, “প্রয়োজনের তুলনায় জেলায় শিশু শ্রমিক বিদ্যালয় কম। তাই চিহ্নিত করার পরেও তাদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।”
শ্রম দফতরের ২০১১-২০১২ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, জেলার আটটি ব্লকে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। জেলায় রয়েছে ৪০টি শিশুশ্রমিক বিদ্যালয়। সেখানে মাত্র দু’হাজার শিশুর পঠনপাঠনের ব্যবস্থা রয়েছে। ওই হিসেবে জেলার মোট শিশু শ্রমিকের প্রায় ৯০ শতাংশই শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ওই পরিসংখ্যান দেখে উদ্বিগ্ন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “এটা চিন্তার বিষয়। জেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং শ্রম দফতরের মাধ্যমে শিশু শ্রমিকদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।”
২০১১-২০১২ আর্থিক বছরে ব্লকগুলিতে সমীক্ষার কাজ হয়। সমীক্ষকেরা দেখেছেন, ইটভাটা, চালকল, বিড়ি তৈরির চলন থাকায় তপন ও হিলি ব্লকে শিশু শ্রমিকের হার বেশি। তপনে সাড়ে ৩ হাজার এবং হিলি ব্লকে ৩ হাজার শিশু শ্রমিকের সন্ধান মিলেছে। কম শিশু শ্রমিক কুশমন্ডি ব্লকে। এরা বিভিন্ন দোকান, হোটেল, বিড়ি তৈরি, ইটভাটা, গ্যারাজের কাজের সঙ্গে যুক্ত। শিশু শ্রমিকদের শিক্ষার অঙ্গনে তুলে আনার জন্য বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুরে ১৬টি, হিলি ও কুমারগঞ্জে ১২টি এবং কুশমন্ডি, তপন, বংশীহারী ও হরিরামপুর ব্লকে ১২টি শিশু শ্রমিক স্কুল খোলা হয়েছে। সেখানে ২ হাজার শিশু পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। শ্রম বিদ্যালয়গুলিতে দুজন শিক্ষক সহ ৫ জন করে কর্মী আছেন। মিড ডে মিল চালু রয়েছে।
শ্রম দফতরের কর্তারা জানান, পর্যাপ্ত স্কুল না থাকায় ইচ্ছা থাকলেও অধিকাংশ শিশু শ্রমিককে শিক্ষার আঙ্গিনায় তুলে আনা সম্ভব হয়নি। স্কুলে শিশুদের মাসে ১৫০ টাকা সরকারি ভাতা দেওয়া হয়। শ্রম কর্তারা মনে করেন শিক্ষায় উৎসাহ বাড়াতে ওই ভাতা বাড়ানো জরুরি। কারণ, বাইরে কাজ করে অনেক বেশি আয় করে ওরা। |
|
|
|
|
|