টুকরো খবর
নিগম আরও বাস কিনছে
সংস্থার বেহাল আর্থিক দশা ঘোচাতে বাসের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (এনবিএসটিসি) কর্তৃপক্ষ। এ জন্য আরও কিছু নতুন বাস কেনা হবে। নিগমের চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “বাসের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে ৩৫টি বাস কেনা হয়েছে। আরও ৪৪টি বাস কেনা হবে।” এনবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরের ছয় জেলা তো বটেই। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও ভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন রুটে এক সময় নিগমের ৭০২টি বাস রাস্তায় চলত। ক্রমশ সেটা কমে হয়েছে ৪৮৬টি। অসম, বিহার, ঝাড়খন্ড, সিকিম সহ বিভিন্ন রাজ্যের মাত্র চারটি রুটে বাস চলছে। ৪৮টি রুটে বাস চালানোর পারমিট রয়েছে নিগমের হাতে। ৪৪টি রুট বন্ধ হয়ে আছে। বিভিন্ন জেলায় একশোর বেশি রুটে বাস বন্ধ। কিছু রুটে একটি বা দুটি বাস চলছে। সেটাও অনিয়মিত। রবিবার কোচবিহারে নিগমের পরিচালন বোর্ডের বৈঠকে ওই সমস্ত সমস্যার কথা উঠে আসে। সেখানে দীর্ঘ আলোচনায় বোর্ড সদস্যরা জানান, সংস্থাকে বাঁচাতে প্রয়োজন আরও বাস। নানা রুটের ব্যবহার। এর পরই বাসের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঠিক হয়েছে পর্যাক্রমে নতুন বাস কেনা হবে। ইতিমধ্যে ৩৫টি নতুন বাস কেনা হয়েছে। আরও ৪৪টি বাস কিনে রোজগার বাড়ানো হবে। নিগমের চেয়ারম্যান জানান, সংস্থার দৈন্যদশা কাটাতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাসের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে মালবাজার ডিপো চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সেচের সমস্যা
ছবি: রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কোচবিহারে হলদিবাড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা সেচের সমস্যায় ধুঁকছে। বাঁধ দিয়ে নদীর জল আটকে সেচের ব্যবস্থা করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল সেটাও শেষ হয়নি। তৈরি হয়নি প্রস্তাবিত রাস্তা। ওই ঘটনায় বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। হলদিবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আশুতোষ সরকার বলেন, “নদীতে বাঁধ দিয়ে জল ধরে রেখে সেচের ব্যবস্থা করার কাজ থমকে আছে। ওই কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানানো হয়েছে।” হলদিবাড়ি থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের ফরওয়ার্ড ব্লক সদস্য আলোক রায় বলেন, “প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য সভাধিপতির সঙ্গে কথা বলব।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকার চাষের জমিতে সেচের জল পৌঁছে দিতে দশ বছর আগে নির্দিষ্ট উচ্চতায় বুড়ি তিস্তা নদীতে কংক্রিটের বাঁধ দেওয়ার পরিকল্প নেয় জেলা পরিষদ। পয়ামারি এলাকায় জেলা পরিষদের প্রয়াত সদস্য মিহির রায়ের উদ্যোগে ওই কাজ শুরু হয়। ঠিক ছিল জলপাইগুড়ি জেলার বেরুবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য দু’পাশে রাস্তা তৈরি করা হবে। কংক্রিটের বাঁধ তৈরির কাজ শেষ হলেও দু’পাশের সংযোগকারী বাঁধ এখনও তৈরি হয়নি। ফলে চাষের জমিতে সেচের জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ইতিমধ্যে বাধা পেয়ে নদী গতিপথ পাল্টে নিয়েছে। বাসিন্দারা জানান, সময় মতো কাজ শেষ না হওয়ায় ওই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

রিকশাভাড়া নিয়ে ক্ষোভ
রিকশা ভাড়া নিয়ে শহরের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ, পুরসভার নির্ধারিত ভাড়া মানছে না রিকশা চালকরা। বহু দিন এমন চললেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় পুরকর্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল অগ্রবাল বলেন, “এক শ্রেণির রিকশা চালক অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” শহরের বাসিন্দারা অবশ্য পুরকর্তারা সঙ্গে একমত হতে পারেননি। তাঁদের অভিযোগ, এক শ্রেণির নয়। বেশিরভাগ রিকশা চালক অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছে। আগের ভাড়া দিলে ঝগড়া করছে।

বিডিও অফিস ঘেরাও
বিদ্যুতের সাব স্টেশন, আর্সেনিক মুক্ত জল সরবরাহ ও কলেজ-সহ ২০ দফা দাবিতে সোমবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিস ঘেরাও করে দুপুর ১২টা থেকে ৪ ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস। কালিয়াচকে ২-এর বিডিও সব দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দ্রুত রুপায়ণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিস্থিতির সামাল দিয়েছেন। এর পরে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা অবরোধ তুলে নেন। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মোথাবাড়ির কংগ্রেস বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “৬ মাসে যদি সাব স্টেশনের কাজ শুরু না হয় তবে ব্লকের কাজ স্তব্ধ করে দেব।”

উদ্ধার কিশোরী
দিল্লি থেকে উদ্ধার কিশোরীমোবাইলের সূত্র ধরে নিখোঁজ এক কিশোরীকে শনিবার দিল্লির রেল স্টেশন থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার বাসিন্দা ১৫ বছরের ওই কিশোরী গত ১৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল। বিয়ের টোপ দিয়ে এক যুবক তাকে সঙ্গে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। কিশোরীর বাবা তোসামোদ মিঁয়া এলাকার ওই যুবকের বিরুদ্ধে নাবালিকা মেয়েকে অপহরণের মামলা দায়ের করেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.