জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড নিয়মিত সাফাই করার দায়িত্ব নিল পুরসভা। সম্প্রতি জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য আধিকারিক ও পুরকর্তাদের বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১ ডিসেম্বর থেকে পুরসভার সাফাই কর্মীরা কাজ শুরু করবেন। জেলা হাসপাতাল সুপার অরবিন্দ তান্ত্রি বলেন, “বিভিন্ন ওয়ার্ডে সাফাই কাজের জন্য ৩০ জন কর্মী দরকার। তা না থাকায় সমস্যা হচ্ছিল। আমরা পুরসভার সহযোগিতা চেয়েছিলাম। তাঁরা সাফাইয়ের দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা খুশি।” পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রণজ কুমার দাস বলেন, “১ ডিসেম্বর থেকে পুরসভার তরফে হাসপাতালের নানা ওয়ার্ড সাফাই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নোংরা পরিবেশ নিয়ে নানা মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সম্প্রতি আন্দোলনে নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুরসভার দ্বারস্থ হন। রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক পাসাং নরবু ভুটিয়া, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও পুরকর্তাদের নিয়ে ওই বিষয়ে বৈঠক করেন। সেখানে পুরসভার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড সাফ করার ব্যবস্থা তাঁরা করবেন। পুরসভাই সাফাই কর্মীদের বেতন মেটাবে।
বর্তমানে হাসপাতালে ঠিকাদার নিযুক্ত ১৬ জন অস্থায়ী সাফাই কর্মী আছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবেতাঁদের কাজে লাগানো হবে। প্রয়োজন হলে আরও কর্মী নিয়োগ করা হবে। কর্মীদের মাসে ৩৯০০ টাকা বেতন দেওয়া হবে। তবে পুরসভার ওই সাফাই কর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ড দিনে দুই বার সাফ করলেও আপাতত জরুরি বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার ও লেবার রুমে কাজ করবেন না। ওই তিনটি বিভাগের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দক্ষ সাফাইকর্মী নিয়োগ করবেন। পুরসভার সিদ্ধান্তে খুশি জেলা কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, “দীর্ঘদিন হাসপাতালে সাফাইয়ের দাবিতে আন্দোলন চলছে। পুরসভা দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা খুশি।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অপূর্ব পাল বলেন, “ভাল উদ্যোগ।” তৃণমূল নেতা তথা রোগীকল্যাণ সমিতি সদস্য অরিন্দম সরকার বলেছেন, “পুরসভা এগিয়ে আসায় দূষণ থেকে রেহাই পাবে।” |