সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ) চালু নিয়ে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুদের অভিভাবকেরা। সোমবার বিকালে একদল অভিভাবক হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অভিভাবকদের অভিযোগ, দুই মাস আগে এসএনসিইউ ইউনিটের পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইউনিটটি চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগী হচ্ছেন না। ফলে, প্রতিদিনই চিকিৎসাধীন বহু রোগীকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হচ্ছে। অনেকে টাকার অভাবে চিকিৎকসাধীন শিশুদের ওই হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন।
হাসপাতাল সুপার অরবিন্দ তান্ত্রি বলেন, “এসএনসিইউ ইউনিট তৈরির কাজ দুই মাস আগে শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও কিছু সরজ্ঞামের অভাবে ওই ইউনিটটি আমরা চালু করতে পারছি না। সমস্যার কথা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের জানানো হয়েছে। তিনি জানান, হাসপাতালের শিশু বিভাগের পরিকাঠামো ভাল নয়। সেই কারণেই প্রায় দুই বছর আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে এসএনসিইউ ইউনিট তৈরি করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। দেড় বছর আগে ওই ইউনিট তৈরির কাজ শুরু হয়। গত সেপ্টেম্বর মাসে কাজ শেষ হয়। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচে দুই মাস আগে হাসপাতালের দোতলায় পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডের পাশে এসএনসিইউ ইউনিটটি গড়ে তোলার কাজ শেষ হয়েছে! বাতানুকুল ওই ইউনিটে সদ্যোজাতদের জন্য ১২টি শয্যা রয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ওই ইউনিটে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞ ৯ জন চিকিৎসক ও ১২ জন নার্সকে নিয়োগ করার বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও এখনও কাউকেই নিয়োগ করা হয়নি।
এ দিন আন্দোলনকারীদের তরফে পেশায় দিনমজুর অনিল বর্মন বলেন, “আমার এক আত্মীয়ের মাত্র ১৩ দিন বয়সী ছেলে এক সপ্তাহ ধরে শ্বাসকষ্ট ও ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশু বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকেরা শিশুটির মাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে যেতে বলেছেন। কিন্তু তার টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে তা নিয়ে আমরা সকলেই দুশ্চিন্তায় রয়েছি। হাসপাতালে এসএনসিইউ চালু হলে এই পরিস্থিতি হত না।” |