টুকরো খবর
এইমসের দাবিতে রায়গঞ্জে এ বার পথে নামল তৃণমূলও
এবার রায়গঞ্জে সরকারি জমিতে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির দাবিতে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর শাখা। সোমবার সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত কয়েকশো কর্মী সমর্থক রায়গঞ্জর কর্ণজোড়ায় ওই দাবি সামনে রেখে অবস্থান করে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, রায়গঞ্জে সরকারি জমি চিহ্নিত করে সেখানে এইমসের দাঁচে হাসপাতাল গড়তে হবে। রায়গঞ্জ ব্লক তৃণমূল নেতা রজত ঘোষের দাবি, “আমরা সরকারি জমিতে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি করার পক্ষে। রাজ্য সরকার কৃষিজমি নষ্ট করবে না বলে পানিশালা এলাকায় হাসপাতাল তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ করছে না।” জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় কংগ্রেসের তরফে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। সে জন্যই তাঁরা মানুষকে সচেতন করতে অবস্থান বিক্ষোভ করেছেন বলে জানান তিনি। এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির জন্য ১০০ একর জমি দরকার। রায়গঞ্জে এক লপ্তে ওই পরিমাণ সরকারি জমি নেই বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। তা হলে সরকারি জমিতে হাসপাতাল গড়ার দাবি তোলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা। উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সুবিধা পেতেই তৃণমূল ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছে। জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় জন-আস্থা হারানোর ভয়েই তৃণমূল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।”

চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু, ক্ষোভ হাসপাতালে
চিকিৎসার গাফিলতিতে এক মহিলার মৃত্যুর জেরে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সামাল দেয় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন কৃষ্ণগঞ্জের গোয়াড়িপাড়ার বাসিন্দা অনু হালদার(৩৫)। সোমবার দুপুরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সে তোলার আগেই তিনি মারা যান বলে অভিযোগ। এদিকে মৃতার পরিবারের বক্তব্য, রোগীর শারীরিক অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না, যাতে তাঁর মৃত্যু হতে পারে। সোমবার দূপুরে একটি ইঞ্জেকশান দেওয়ার পরই তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতার পরিবারের আরও অভিযোগ, মহিলার শারীরিক অবস্থা প্রকৃতই খারাপ হয়ে থাকলে কেন আগেই জেলা হাসপাতালে রেফার করা হল না। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বাতী কুণ্ডু জানান, “চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি। প্রয়োজনীয় সমস্ত চিকিৎসাই করা হয়েছে। রোগীকে খুবই খারাপ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল”।

মশা নিয়ন্ত্রণে পথে পুরসভা
শহরে ডেঙ্গি ধরা পড়ায় মশা নিয়ন্ত্রণে পথে নামল আলিপুরদুয়ার পুরসভা। এ দিন শহরে মশা মারার জন্য ধোঁয়া ছড়ানোর কাজ শুরু করেন পুরসভার কর্মীরা। রবিবার শহরে এক বাসিন্দার রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু ধরা পড়ে। তার পড়ে নড়েচড়ে বসে পুরসভা ও স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, শহরের এক বাসিন্দার রক্তে ডেঙ্গি ধরা পড়ায় ধোঁয়া ছড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। ধোঁয়া ছড়ানোর মেশিনে ডিজেলের সঙ্গে পরিমাণ মত মশা মারার তেল মিশিয়ে শহরে ধোঁয়া দেওয়া হচ্ছে। মশা মারার তেল ছড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে সুপার সুজয় বিষ্ণু বলেন, গত সাত দিনে তিন জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বীরপাড়ার বাসিন্দা অজিত রায়কে শনিবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। তিনি কিছু দিন আগে মেঘালয় থেকে এসে ছিলেন। কোচবিহারের খোলটার এক বাসিন্দা প্রাণেশ ঘোষ ডেঙ্গি নিয়ে ভর্তি। রবিবার শহরের এক বাসিন্দা দীপক মাহাতো ডেঙ্গি নিয়ে ভর্তি হন।

আয়ারল্যান্ড সরকারকে চিঠি
গর্ভপাতের নিয়ম বদলানোর দাবি জানিয়ে আয়ারল্যান্ড সরকারকে চিঠি দিলেন সবিতা হালাপ্পানাভারের বাবা আন্দানেপ্পা ইয়ালাগি। আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এন্ডা কেনিকে সরাসরি চিঠি লেখেন তিনি। ধর্মীয় সংস্কারের জেরে আর কোনও মহিলার মৃত্যু যাতে না ডেকে আনে এই মর্মেই চিঠিটি লিখেছেন আন্দানেপ্পা। সবিতার বাবা-মা মেয়ের মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে দেখার জন্য কেন্দ্রের কাছেও আর্জি জানিয়েছেন।

নতুন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র
একটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন হল বারাবনি পঞ্চায়েতের মাজিয়াড়া গ্রামে। সোমবার সেটির উদ্বোধন করেন সমিতির সভাপতি উত্তম চক্রবর্তী। ছিলেন বারাবনি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আসিফ সিরাজ। তিনি জানান, এখানে এখন প্রসূতিদের চিকিৎসা হবে। পরে সাধারণ রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থাও হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.