পরিকাঠামো উন্নয়ন ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচি নিল সিপিআই সমর্থিত শিক্ষক সংগঠন ‘বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’। সোমবারই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিদ্যাসাগর হলে সংগঠনের তিন দিন ব্যাপী ২৩তম দ্বিবার্ষিক রাজ্য সম্মেলন শেষ হয়েছে। সেখানেই পরিকাঠামো ও শিক্ষার মান উন্নয়নের দাবিতে, চক্র, জেলা থেকে রাজ্যসর্বত্রই স্মারকলিপি প্রদান, অবস্থান-বিক্ষোভ, এমনকী প্রয়োজনে অনশনের পথে যাবে বলে ঠিক করেছে এই শিক্ষক সংগঠন। সংগঠনে পুনর্নির্বাচিত রাজ্য সভাপতি সুধাংশু পাল ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জহরলাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আগে শিক্ষকদের মাইনে কম ছিল। কিন্তু আন্তরিকতা ছিল বেশি। এখন মাইনে বেড়েছে। কিন্তু পরিকাঠামো উন্নত না হওয়ায় এবং অযৌক্তিক সব সিদ্ধান্ত কার্যকরী হওয়ায় শিক্ষার মান কমছে। তারই বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন।” সংগঠনের অভিযোগ, বিগত বামফ্রন্ট সরকার আমলাদের ব্যবহার করেছিল নিজেদের স্বার্থে, বর্তমান সরকারও সেই পথেই চলছে। ফলে ‘পরিবর্তনের সরকারের’ আমলেও শিক্ষার মান উন্নয়ন হবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সংগঠনের নেতারা। রাজ্য সম্মেলনের খসড়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, “গণতন্ত্রের পরিবর্তে প্রায় সর্বত্র দলতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। বিভিন্ন আধিকারিকবৃন্দ শাসকদলের কথায় চলছেন, যদিও অতীতেও এই অকাঙ্খিত রোগের প্রাধান্য ছিল।” বামফ্রন্ট সরকারের আমলে শিক্ষা ক্ষেত্রে কিছু মৌলিক পরিবর্তন হলেও তা কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে খসড়া প্রতিবেদনে। সংগঠনের দাবি, বামফ্রন্টের সময়েও তাঁরা তীব্র আন্দোলন করেছিলেন। সংগঠনের সভাপতির কথায়, “আমাদের সংগঠন শিক্ষার জন্যই। তাই খোলা মনে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও ধন্যবাদ জানিয়েছি, প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা চালুর জন্য উদ্যোগ নেওয়ায়।” এ বার ২৯ জনের রাজ্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৩ জনের কর্মকর্তামণ্ডলী। জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই সদস্যপদ শুরু হবে সংগঠনে। রাজ্যে সংগঠনের বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। সম্মেলনে সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রানা, সাংসদ প্রবোধ পাণ্ডাও উপস্থিত ছিলেন। |