|
|
|
|
মারধরের অভিযোগ শালতোড়ায় ধৃত ১ |
ইন্দাসে গ্রেফতার ৭ সিপিএম কর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শালতোড়া ও ইন্দাস |
তৃণমূল সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগে এক সিপিএম সমর্থককে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার শালতোড়ার তিলুড়ি এলাকায়, পুলিশ জানিয়েছে ধৃত বিজয় কর্মকার শালতোড়া থানার বাগুলি গ্রামের বাসিন্দা। অন্য দিকে, তৃণমূলের পতাকা ও ফেস্টুন পোড়ানোর অভিযোগে ইন্দাসের সাওতাড়ি এলাকা থেকে ৭ সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার বাড়ি থেকেই তাঁদের ধরা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার শালতোড়ার তিলুড়ি গার্লস হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন ছিল। ৬টি আসনেই সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীদের হারিয়ে দেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। এই স্কুলের পরিচালন সমিতি দীর্ঘদিন ধরে সিপিএমের দখলে ছিল। স্কুলভোটের ফলাফল ঘোষণার পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শালতোড়ার তৃণমূল বিধায়ক স্বপন বাউরির অভিযোগ, “ভোটে হেরে যাওয়ার পরে বেশ কিছু সিপিএম কর্মী-সমর্থক তিলুড়ি বাজারে আমাদের কয়েক জন সমর্থকের উপরে আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠি, রড নিয়ে চড়াও হয়। তাঁদের সাইকেল ও মোটরবাইকে আগুন লাগিয়ে দেয়।” এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্র। উল্টে সিপিএমের তিলুড়ি অঞ্চল অফিসে তৃণমূল কর্মীরা আগুন লাগিয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ। অমিয়বাবুর দাবি, “স্কুলভোটের ফল বেরোতেই তৃণমূলের লোকজন সিপিএম কর্মীদের হুমকি দিতে থাকে। আমাদের কর্মীরা পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে অফিসের দরজায় পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে আমাদের সমর্থকেরা গিয়ে আগুন নেভান।” পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, সিপিএমের তরফ থেকে পার্টি অফিসে আগুন লাগানোর অভিযোগ সোমবার বিকেল পর্যন্ত জমা পড়েনি। তৃণমূলের তরফ থেকে তাদের সমর্থকদের মারধর, সাইকেল, মোটরবাইকে আগুন লাগানোর অভিযোগ জমা পড়েছে।
ইন্দাস থানায় দায়ের করা অভিযোগে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক গুরুপদ মেটে দাবি করেছেন, শনিবার রাতে সাওতাড়ি এলাকায় তাঁদের দলের বেশ কিছু পতাকা ও ফেস্টুন সিপিএমের কর্মীরা পুড়িয়ে দেন। বিধায়কের দাবি, “এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির জন্য সিপিএম এই কাজ করেছে। আমাদের এক কর্মীর ধান কেটে নিয়ে গিয়েছে।” যদিও এই অভিযোগ ‘পুরোপুরি সাজানো’ বলে দাবি করেছেন সিপিএমের ইন্দাস জোনাল কমিটির সম্পাদক অসীম দাস। তাঁর পালটা অভিযোগ, “তৃণমূলের লোকেরা নিজেরাই পতাকা পুড়িয়ে আমাদের কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। বাথানিয়া গ্রামে আমাদের দুই কর্মীর মাঠ থেকে ধান কেটে নিয়ে পালিয়েছে তৃণমূলের লোকেরা পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয়নি।” পুলিশ অবশ্য ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। সোমবার ধৃতদের বিষ্ণুপুর আদালতে হাজির করানো হয়। |
|
|
|
|
|