আগামী ৮ ডিসেম্বর লালগড়ে সভার ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। সেই সভার পরদিনই জঙ্গলমহলে সভার ডাক দিলেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার খড়্গপুরের মাদপুরে দলীয় এক সভায় এই ঘোষণা করেন শুভেন্দু। দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন, “৯ তারিখই সভা করতে হবে। হয় রামগড়ে, নয়তো শালবনির পিড়াকাটায়। এক জন হ্রদ কাটবে আর এক জন কই খাবে তা হবে না।”
কংগ্রেসের দাবি, জঙ্গলমহলে যা উন্নয়ন হচ্ছে সবই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থেহয় তা ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যানের টাকায়, নয় বিআরজিএফ, নয় প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা খাতে। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থেই তফসিলিদের ভাতা দেওয়া হয়। কেন্দ্রে ক্ষমতায় কংগ্রেস। তাই কেন্দ্রীয় প্রকল্পেই যে উন্নয়ন হচ্ছে সে কথা প্রচার করতে জঙ্গলমহলে সভা করতে উদ্যোগী হয়েছে কংগ্রেস। তারই পাল্টা প্রচারের জন্য পরদিন জঙ্গলমহলে সভা করার নির্দেশ দিয়েছেন শুভেন্দু। মাদপুরের সভায় প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন তৃণমূল সাংসদ। সিপিএমকে কটাক্ষ করে সাংসদের বক্তব্য, “এখন সিপিএম নেতারা বলছেন, অপেক্ষা করুন। ধৈয্য ধরুন। আর আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে না। এ বার চিরদিনের মতো অপেক্ষা করুন।” প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মানস ভুঁইয়াকে ‘সিপিএমের বিধায়ক’ কটাক্ষ করে বলেন, “একজন সিপিএমের বিধায়ক রয়েছেন, কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে জেতেন। আবার বিজেপি-র হাত ধরে খড়্গপুর পুরসভায় অনাস্থা এনেছে কংগ্রেস। ওদের উচিত শিক্ষা দিন।” |
জঙ্গলমহলে এখন শান্তি ফিরেছে, উন্নয়ন হচ্ছে দাবি করে শুভেন্দুবাবু বলেন, “এখন জঙ্গলমহল শান্ত। শান্ত পাহাড়ও। যে জঙ্গলে ২০৮টি শিবির করে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনী এলাকাতে রক্তাক্ত করেছিল। এখন সেখানে উন্নয়নের জোয়ার বইছে।” মাদপুরের পর মেদিনীপুর শহরে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কনভেনশনে যোগ দেন শুভেন্দু। সেখানে বক্তব্য রাখতে শিক্ষকদের প্রতি তাঁর আহ্বান, “আপনারা নিজেদের সত্তা বজায় রেখে সরাসরি আমাদের সঙ্গে আসুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করুন।” তারপরই বার্জটাউন ইন্দিরা গাঁধী সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন-এর ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে যোগ দেন সাংসদযে সংস্থাটি তৃণমূল নেতা তথা মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসুর। ওই সংস্থাকে একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েও সাহায্য করেন সাংসদ। সংস্থার পক্ষ থেকে একটি শববাহী যানও কেনা হয়েছে। অনুষ্ঠানে চিকিৎসক বিমলেন্দু বিকাশ সাহা ও রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক নির্মলেন্দু দে-কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। |