কেউ যদি আমাকে ফুল চকলেট দেয়, বা মোমবাতি-ডিনারে নিয়ে যেতে চায়, আমি তার গালে সপাটে একটা চড় মারি। অনুষ্কা শর্মা উবাচ। তাঁর সাফ কথা: আই অ্যাম নট আ ক্লিশে রোমান্টিক।
যব তক হ্যায় জান-এ তাঁর চরিত্রটাও ঠিক এ রকমই। দুঃসাহসী বেপরোয়া আকিরা কী না করে গভীর জলে ঝাঁপ দেওয়া থেকে দুর্গম বিপদসঙ্কুল অঞ্চলে সেনা অভিযানে শামিল হওয়া অবধি। ডিসকভারি চ্যানেলের জন্য ডকুমেন্টারি বানানোই তার পেশা, সে পেশায় সফল হওয়ার জন্যে বহু দূর যেতে সে প্রস্তুত।
এ রকম দুর্দান্ত মেয়েদের দেখলে ভরসা হয় বলিউড বুঝি এগোচ্ছে। কিন্তু আমারই ভুল, খেয়াল ছিল না বলিউড যদি উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেয়েদের বাইরের কাজেকর্মে থিতু করে, তা হলে তাদের অন্দরমহলে আসতে দিতে চায় না। সে জন্যে মেয়েটির চরিত্রে এমন বোহেমিয়ানপনা জুড়ে দেন, যাতে দর্শক প্রথম থেকেই ভাবতে থাকে আরে, এ তো বেজায় পাগল, অস্বাভাবিক, খ্যাপা, খানিকটা উৎকেন্দ্রিকও! কাজের জন্যে টইটই করে বেড়ায়, তার ওপর আবার বদখত ব্যবহার। একে কোনও পুরুষ ভালবাসতেই পারে না, বিয়ে করা তো দূরের কথা।
ছবিতে আকিরাকে বহু বার ‘ম্যাড উওম্যান’ বিশেষণটা শুনতে হয়। অনুষ্কা জানিয়েছেন, ‘মাই ক্যারেকটার ইজ... রুথলেস উইথ হার অ্যাম্বিশনস।’ ‘অ্যাম্বিশাস’ মেয়েদের ‘লাভ লাইফ’ হতে নেই, থাকতেও নেই। ‘ডার্টি পিকচার্স’ আর ‘হিরোইন’ মনে করুন, বিদ্যা বালন আর করিনা কপূরের প্রেমের একই পরিণতি! অনুষ্কা বা আকিরা হয়তো কোনও নতুন ধরনের রোমান্টিকতার কথা বলতে চাইছেন, তাঁদের নিজেদের মতো করে, কিন্তু কে শুনবে?
বলিউডের ছবিতে আজও বেচাল মেয়েদের বর জোটে না, ঘরও নয়। |