|
|
|
|
পটনায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১৭ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
ছট পুজো দিতে এসে বিহারের আদালতগঞ্জের ঘাটে প্রবল ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ১৮ জনের। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দাবি, মৃতের সংখ্যা ১০ জন।
পুজো উপলক্ষে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছিল বিহার সরকার। শীত পড়ে গিয়েছে বলে গঙ্গার জল ঘাট থেকে পিছিয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কা করেই আদালতগঞ্জের বাঁধানো ঘাট থেকে জল পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য একটি অস্থায়ী বাঁশের সেতু বানানো হয়েছিল। কিন্তু হাজার হাজার পুণ্যার্থীর ভিড়ের চাপে ভেঙে পড়ল সেই সেতু। তার সঙ্গে সংযুক্ত বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যেতে মুহূর্তের মধ্যে অন্ধকারে ডুবে যায় ঘাট সংলগ্ন এলাকা। সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুণ্যার্থীরা প্রথম বারের পুজো শেষ করে ঘাটে ফিরছিলেন। বেশির ভাগই শিশু এবং মহিলা। দ্রুত ফিরতে গিয়ে প্রবল হুড়োহুড়ি পড়ে যায় তাঁদের মধ্যে। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। |
|
পদপিষ্টদের মৃতদেহের সামনে বিলাপ। পটনায়। ছবি: এপি। |
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁর দাবি, সেতু ভেঙে পড়ে এই দুর্ঘটনা হয়নি। একই দাবি পটনার জেলাশাসক সঞ্জয় সিংহের। সঞ্জয়ের বক্তব্য, পুজো শেষ করে সেতু পেরিয়ে একটি সরু রাস্তা দিয়ে ফিরছিলেন এক দল পুণ্যার্থী। আর এক দল একই সময়ে পুজো দেওয়ার জন্য গঙ্গার দিকে যাচ্ছিলেন। এই অবস্থায় হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় অন্ধকারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে তাঁদের মধ্যে। এর ফলেই শুরু হয় প্রবল ধাক্কাধাক্কি। নীতীশের দাবি, মৃতের সংখ্যা ১০। পটনার পুলিশ সুপার জয়ন্তকান্ত অবশ্য জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৭। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৬ জন শিশু।
আহতদের পটনা মেডিক্যাল কলেজ, মগধ হাসপাতাল ও স্থানীয় নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আহতদের আত্মীয়রা। রাত দশটা নাগাদ বিক্ষোভকারীরা টায়ার ও কাঠ দিয়ে পটনা মেডিক্যাল কলেজের মূল ফটকের সামনে আগুন লাগিয়ে দেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তেও শুরু করেন তাঁরা।
মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য। বিদ্যুতের তার কেন ছিঁড়ে পড়ল তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন নীতীশ। |
|
|
|
|
|