রেণু সরকার খুনে অন্যতম অভিযুক্ত মঙ্গল সাহানিকে কেন হাজির করানো হয়নি, তার রিপোর্ট চাইল আদালত। সোমবার বৃদ্ধা রেণু সরকার খুনের মামলার চতুর্থ দফার সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন ছিল। কিন্তু সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ অন্যতম অভিযুক্ত মঙ্গলকে এ দিন আদালতে হাজির করতে পারেনি।
সরকার পক্ষের আইনজীবী তপনকুমার দে বলেন, “মঙ্গল সাহানি আদালতে অনুপস্থিত কেন, বোলপুর উপ-সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে তার রিপোর্ট তলব করেছেন বোলপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক সোমেশপ্রসাদ সিংহ।”
গত ১৩ জানুয়ারি রাতে শান্তিনিকেতনে বাগানপাড়ার বাড়িতে খুন হন মহাদেবী বিড়লা গার্লস স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা রেণু সরকার (৭৮)। বাড়ির কেয়ারটেকার উজ্জ্বল তপাদারের পাশাপাশি অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত মঙ্গল। প্রথমে বীরভূমের সিউড়ি সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল তাকে। একাধিক বার সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তিও হয় সে। কিন্তু সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেও ধরা পড়ে যায়। এর পরে তাকে বোলপুর উপ-সংশোধনাগারে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফের অসুস্থতার কথা জানানোয় গত ৫ অক্টোবর তাকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। পরের দিন দুপুরে সেখান থেকে ছেড়ে দিলে মঙ্গলকে বর্ধমান কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছিল। পরে ফের পেটে যন্ত্রণার কথা বলায় ১৫ অক্টোবর রাতে একটি ভাড়াগাড়িতে মঙ্গলকে বর্ধমান মেডিক্যালে নিয়ে এসেছিলেন দুই কারারক্ষী। ওই সময় রক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় মঙ্গল। ঘটনায় ওই দুই কারারক্ষীকে সাসপেন্ডের পাশাপাশি শো-কজ করা হয় বর্ধমান জেলের সুপার মেইয়ামোদো গুঁইকেও।
এ দিন সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল ময়না-তদন্তকারী চিকিৎসক নিতাইপদ হালদার ও বোলপুর থানার পুলিশ কর্মী মিলনকুমার ঘটকের। কিন্তু মঙ্গল অনুপস্থিত থাকায় ওই সাক্ষ্যগ্রহণ আর হয়নি। এ দিন বিচারক আর এক অভিযুক্ত পিন্টু দাসের জামিনের আবেদনও নামঞ্জুর করেছেন। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ হবে আগামী ২০, ২১ ও ২৩ নভেম্বর।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.