দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের কর্মীদের বদলে মদনমোহন মন্দিরের প্রণামী বাক্সের টাকা গুনবেন বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মীরা। সম্প্রতি ওই বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ট্রাস্টের চুক্তি হয়েছে। ফলে এ বার রাসমেলার মরসুমে ভক্তদের দেওয়া প্রণামীর টাকা গোনার ঝামেলা পোহাতে হবে না দেবত্র ট্রাস্টের কর্মীদের। ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে ৫টি কাঁচের ও ৭টি লোহার প্রণামীর বাক্স রয়েছে। ফি বছর রাসমেলার সময়ে বিপুল সংখ্যক ভক্ত ওই সব বাক্সে প্রণামী জমা দেন। খুচরো পয়সা, টাকার মুদ্রা ছাড়াও বিভিন্ন অঙ্কের নোট তাতে জমা পড়ে। রাসমেলার মরসুমে ভক্তদের দানে ভরে যাওয়া বাক্সগুলি খুলে গুনে রাখার কাজ সারেন ট্রাস্টের কর্মীরা। ফলে টানা চার-পাঁচ দিন তাঁদের বাড়তি হ্যাপা পোহাতে হয়। সমস্যা মেটাতে এ বার বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি করেন দেবত্র বোর্ড কর্তারা। দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের সচিব তাপস মণ্ডল বলেন, “ওই বেসরকারী ব্যাঙ্কের কর্মীরা মন্দিরে এসে প্রণামীর টাকা প্রশাসনিক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে গুনে। রসিদ দিয়ে নিয়ে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে জমা দেবেন। রাসমেলায় এবার প্রথম ওই সুবিধে হচ্ছে। এতে কর্মীদের বাড়তি হ্যাপা কমবে।” কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্তে খুশি ট্রাস্টের কর্মীরাও। তাঁদের একজন জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, “গতবার রাসমেলার মরসুমে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা প্রণামী পড়েছিল। কর্মীদের ছয়-সাত জনকে টানা পাঁচ দিন ধরে যা গুনতে হয়। এবার ব্যাঙ্কের কর্মীদের ওই দায়িত্ব দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে ভাল লাগছে।” এবার ২৭ নভেম্বর থেকে রাসমেলা শুরু হচ্ছে। চলবে ১৮ দিন। মেলার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেলা মাঠে খুঁটি পুজো করে বিদ্যুৎ সংযোগের পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কর্মীরা। |