সেতু তৈরিতে দেরি কেশপুরে
প্রতিশ্রুতি ছিল, দেড় বছরের মধ্যে সেতু তৈরি হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের কাজ কার্যত থমকে রয়েছে বলেই অভিযোগ স্থানীয় বিধায়কের। পূর্তমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেও নালিশ জানিয়েছেন তিনি। সংশয়, আড়াই বছরেও কাজ হয়তো শেষ হবে না। ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষজনও।
পূর্ত দফতরের যুক্তি, গত বছর ভারী বর্ষণে কাজ ব্যাহত হয়। তবে এখন কাজে গতি এসেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শেষের চেষ্টা চলছে। পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল প্রতিহার বলেন, “গত বছর বৃষ্টিতে সমস্যা হয়েছিল। তবে এখন কাজের গতি ঠিকই রয়েছে।” তবে আগামী জুনের আগে সেতু তৈরির কাজ শেষ করা সম্ভব নয় বলে স্বীকার করছে পূর্ত দফতরও।
ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
মেদিনীপুর-কেশপুর রাজ্য সড়কের উপর পঞ্চমীতে এই সেত। নীচে পারাং নদী। সেতুটি এতটাই সংকীর্ণ যে একদিক থেকে বাস এলে, অন্য দিকের বাস দাঁড় করাতে হয়। বাস-লরি পারাপারের সময় পথচলতি মানুষকেও দাঁড়িয়ে পড়তে হয়। না হলে দুর্ঘটনা ঘটবে। রাজ্য সড়কটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। মেদিনীপুর থেকে কেশপুর, নাড়াজোল, দাসপুর হয়ে এই সড়ক হয়েই ঘাটাল যাওয়া যায়। আবার নেড়াদেউল, চন্দ্রকোনা হয়ে একদিকে গড়বেতা, অন্যদিকে বর্ধমান, তারকেশ্বরও যাওয়া যায়। ফলে সেতুটি যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লে এই সব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। পরিস্থিতি দেখে পঞ্চমীতে পুরনো সেতুর পাশে নতুন সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে, ২০১১ সালের জানুয়ারিতে প্রস্তাবিত সেতুর শিলান্যাস হয়। এসেছিলেন তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী। সব মিলিয়ে মঞ্জুর হয়েছে ৫ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। প্রস্তাবিত সেতুটি ১১৬.৩ মিটার লম্বা এবং ৭.৫ মিটার চওড়া হবে। দু’দিকে দেড় মিটার করে ফুটপাত থাকবে। পূর্ত দফতর জানিয়েছিল, দেড় বছরের মধ্যে নতুন সেতু হয়ে যাবে। কাজও শুরু হয়। তবে তারপরেই কাজের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। কেশপুরের বিধায়ক রামেশ্বর দোলুই বলেন, “কাজের গতি অত্যন্ত শ্লথ। কার্যত থমকে রয়েছে। এ ভাবে কাজ হলে আগামী বর্ষার আগে কাজ শেষ হবে কি না সংশয়।” তাঁর কথায়, “পূর্তমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদারের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানিয়েছি। কাজে নজরদারি বাড়াতে আবেদন জানিয়েছি। জেলাশাসকের কাছেও একই আবেদন জানিয়েছি। তবে কাজে গতি আসেনি।” বিধায়কের অভিযোগ, “কম সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। ফলে দ্রুত কাজ এগোচ্ছে না।” সময়ে কাজ শেষ হয়নি মেনেই পূর্ত দফতরের বক্তব্য, নজরদারির অভাব নেই। তবে টানা বৃষ্টি হলে সমস্যা হয়। দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, “এখন গতি ঠিকই রয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে কাজ শেষের চেষ্টা চলছে।” এ বার প্রতিশ্রুতি রক্ষা হয় কি না, সেটাই দেখার।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.