কপিল: সবাই বলছে অ্যালিস্টার কুক কী ক্যাপ্টেন্সি করছে! ওর জন্য অনেক রান গেছে। আমার মতে কুককে দোষ দিয়ে কোনও লাভ নেই। বীরুর মতো ওই রকম ব্যাট করলে ক্যাপ্টেনের কিছু করার থাকে না। ৯৯-তে থাকার সময় ফিল্ড আগে আনল তো বীরু তুলে মেরে দিল। এক বাউন্সে চার। ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে এই রকম প্লেয়ার আমি দেখিনি যে থার্ডম্যান থেকে মিড-অফ পর্যন্ত যে কোনও জায়গায় খুলে শট খেলতে পারে। কোন বলটা ও ঠুকবে আর কোনটা মারবে, সেটা সহবাগ নিজেই ঠিক করে। আজ তো বোলিং নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করেছে। হিন্দি কমেন্ট্রিতে সহবাগ নিয়ে বলতে গিয়ে সেই বহু পরিচিত অভিব্যক্তিটাই ব্যবহার করলাম। ধুয়াঁধার বল্লেবাজি। কী প্লেয়ার রে বাবা। আমার যদি থাকত!
|
সৌরভ: এটাই বীরুর খেলার স্টাইল হওয়া উচিত। যখন চাপে পড়ে, তখন এ ভাবেই ব্যাট করে। এ রকম শৃঙ্খলায় বাঁধা ইনিংস ওকে আমি আগেও খেলতে দেখেছি। বিদেশে তো দেখেইছি। প্রবলেম হল, যেই তখনকার মতো চাপটা কেটে যায়, আবার ও যে কে সেই হয়ে যায়। আমি লিখে দিলাম, এই যে কনফিডেন্স পেয়ে গেল, পরের টেস্ট মুম্বইয়ে শুরু থেকে চালাবে। মিলিয়ে নেবেন আমার কথা। সরি, পরের টেস্ট কী বলছি, এখানে পরের ইনিংসেই চালাবে ও। বীরুর হাবভাব দেখে-দেখে আমার চোখ পচে গেছে।
|
রাজকুমার: দারুণ লাগল সহবাগের ইনিংস। বিরাট শুধু নয়, ভারতের তরুণ প্রজন্মের আজকের ইনিংস দেখে অনেক শেখার আছে। শেখার আছে শ্রেষ্ঠ স্ট্রাইক ব্যাটসম্যানকেও প্রয়োজনে নিজেকে গুটিয়ে রাখতে হয়। আমার স্ট্রোক হাতে আছে মানেই এক-ধারসে মারতে শুরু করলাম, এটা তো শো অফ। শো অফ আর ইগো দিয়ে ক্রিকেট হয় না সহবাগ দেখিয়েছে। আশা করব, ড্রেসিংরুমে বসে থাকা বিরাট এই ইনিংস থেকে যথার্থ শিক্ষা নিয়েছে। |