সেঞ্চুরি-টেঞ্চুরি করে সাংবাদিক সম্মেলনে আসা বীরেন্দ্র সহবাগ বরাবরই মজাদার এক অভিজ্ঞতা! দর্শকেরা একটু আগে যেমন বিনোদন পেয়েছে, সাংবাদিকেরাও অনিবার্য ভাবে তার আঁচটাচ পায়। বৃহস্পতিবারও তেমন একটা দিন ছিল...
আপনার আজকের সেঞ্চুরি: হ্যাঁ, ২৩তমটা করে ফেললাম।
দু’বছর সেঞ্চুরির খরা কাটিয়ে এই সাফল্যের পিছনে কার কৃতিত্ব বা অজ্ঞাত হাত: আমার নিজের।
আজকের অন্য রকম শৃঙ্খলিত সহবাগ: আমাদের কম্পিউটার অ্যানালিস্ট ধনঞ্জয় কাল বেশ রাত্তির পর্যন্ত আমাকে পুরনো ইনিংসগুলোর ভিডিও দেখাচ্ছিল। টিম রুমে কাল রাত সাড়ে দশটা-এগারোটা পর্যন্ত আমরা ছিলাম। তখনই ধনঞ্জয় আমায় পুরনো ভিডিও দেখাল যে, প্রথম দশ ওভার যদি আমি নিরাপদে কাটিয়ে দিতে পারি তা হলে আমি বড় রান করে দিয়েছি। তাই আজ লক্ষ্য ছিল প্রথম দশ ওভার নিরাপদে খেলা। |
দিনের শেষে ভক্তদের মাঝে। ছবি: উৎপল সরকার |
গ্রেম সোয়ানের বোলিং: আহামরি কিছু নয়। সব ক’টা উইকেটই তো গেছে ওকে মারতে গিয়ে। কেউ যদি ঠিক করে, ধরে-ধরে খেলবে, তাকে আউট করা খুব শক্ত। পিচ ভীষণ স্লো। স্ট্রোক প্লে মুশকিল। তার মধ্যে আবার ইংল্যান্ড পাঁচ ওভারের পর থেকেই সবাইকে পিছনে করে দিল। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট পিছনে। কভার পিছনে। রানটা বাড়বে কী করে।
আজকের সেঞ্চুরির বাড়তি গুরুত্ব: সব সেঞ্চুরিই ইম্পর্ট্যান্ট। আজকেরটা একেবারে ঠিক সময় এসেছে।
মধ্যিখানে রান না পেয়ে সহবাগ সম্পর্কে সংশয় তৈরি: কার সংশয় হয়েছিল জানি না। টিমের হয়নি আমাকে নিয়ে। আমার নিজের হয়নি নিজেকে নিয়ে। গল্প বানাচ্ছিলেন তো আপনারা। ডাউট যদি কিছু হয়ে থাকে সেটা আপনাদের। ইচ্ছাকৃত তৈরি।
পিচ দেখে ভারতীয় স্পিনারদের জিভ লকলক করছে কি না: (ব্রিটিশ সাংবাদিকদের ব্যঙ্গাত্মক প্রশ্ন। সহবাগের ঠিক ওই টোনেই জবাব) এর উত্তর আপনাকে ভাই কাল আমাদের টিমের যে প্রেস কনফারেন্সে আসবে, সে দিয়ে দেবে। টি অবধি আমাদের ব্যাট করার ইচ্ছে। এর পর কী ঘটছে সে আপনাকে ভাল করে জানিয়ে দেবে। কেমন?
ভারত কি প্রথম দিনেই ম্যাচ জিতে গেল: না, না। কুড়িটা উইকেট ফেলতে হবে। এত সহজ নাকি? আরে, ইংল্যান্ড তো আর বাংলাদেশ নয় বা অন্য কোনও মুরগি টিম! (সাংবাদিক সম্মেলনে সঙ্গে আসা টিম ম্যানেজার সতীশ মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন। “এই রে আবার বাংলাদেশ। এ তো হেডলাইন হয়ে গেল কালকের! |