নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
পাড়ায় মাতলামির প্রতিবাদ করায় এক প্রৌঢ়কে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে আরামবাগের রামমোহনপল্লি-সংলগ্ন শিশু উদ্যানের কাছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম কার্তিক মণ্ডল (৬০)। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। কার্তিকবাবুর ছেলে কাজল মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেশী বাবলু মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি তিন অভিযুক্ত পলাতক। মৃতদেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ১১টা নাগাদ পাড়ার কিছু মদ্যপের অশ্রাব্য গালাগাল শুনে কার্তিকবাবু ঘর থেকে বেরিয়ে তাদের সংযত করার চেষ্টা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাপস মণ্ডল নামে প্রতিবেশী এক যুবক কার্তিকবাবুকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। অশ্রাব্য গালিগালাজও করে। কার্তিকবাবু ফের উঠে তার প্রতিবাদ করলে লাঠি-রড দিয়ে তাঁকে মারা হয় বলে অভিযোগ। কার্তিকবাবুর বড় ছেলে কাজল মণ্ডল বলেন, “বাবাকে ওরা চার জন লাঠি দিয়ে মারছিল। মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরেও পেটে বুকে লাথি মারছিল। বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়। পরে অনেক লোক এলে ওরা পালায়। বাবাকে তুলে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে আনলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাবাকে পিটিয়েই মেরে ফেলল ওরা।”
ধৃত বাবলুর দাবি, “কার্তিক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছে দেখে গিয়েছিলাম। দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হচ্ছিল। কার্তিক পড়ে যায়। তবে কেউ ওকে লাঠি রড দিয়ে মারেনি।”
ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। |