|
|
|
|
শৈত্যপ্রবাহ উত্তর ভারতে |
ভূস্বর্গে ঝঞ্ঝা, শীতের আমেজ বাংলায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এখনও পুরোদস্তুর ইনিংস শুরু করেনি শীত। এরই মধ্যে উত্তর ভারত এবং মধ্য ওড়িশার কোনও কোনও এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়ে গিয়েছে! বঞ্চিত হচ্ছে না কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গও। শীতের জন্য মুখিয়ে থাকা মহানগরে এখন শীত-শীত ভাব। হিমের পরশ তো আছেই। হাজির কুয়াশাও। আবহ দফতরের আশ্বাস, এই শীতের ভাবটা হুট করে উবে যাবে না। বরং উত্তুরে হাওয়ার দাপট বাড়তেই থাকবে।
দিল্লির মৌসম ভবন জানাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ, বিদর্ভ, মধ্য ওড়িশার বেশ কিছু এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চলতি সময়ের স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ-ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমে গিয়েছে। আবহবিদদের পরিভাষায় আবহাওয়ার এই অবস্থাকেই বলে শৈত্যপ্রবাহ। শীতের সূচনাতেই এই শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি কেন? |
বরফে ঢেকে গিয়েছে বদ্রীনাথও। ছবি: পিটিআই |
আবহাওয়া দফতরের খবর, জম্মু-কাশ্মীরে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে কোথাও কোথাও বৃষ্টি চলছে, কোথাও হচ্ছে তুষারপাত। উত্তুরে হাওয়ার তীব্রতা বাড়ছে সেই বর্ষণ এবং সেই তুষারপাতের প্রভাবেই। আর সেই বৃষ্টি ও বরফ মাখা উত্তুরে হাওয়া উত্তর ও মধ্য ভারত হয়ে ঢুকে পড়ছে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে। তার জেরেই কোথাও কোথাও শৈত্যপ্রবাহ চলছে, কোথাও বা শীত-শীত ভাব অনুভূত হচ্ছে নভেম্বরের মাঝপর্বেই। আপাতত দক্ষিণ ভারতের কোনও কোনও এলাকা ছাড়া বাংলা-সহ সারা দেশেই শীত-শীত ভাব চলতে থাকবে বলে আবহবিদদের আশা।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের এলাকাগুলিতে (বর্ধমান শিল্পাঞ্চল এবং বিহার-ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকা) ইতিমধ্যেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে তিন-চার ডিগ্রি নেমে গিয়েছে। কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চলতি সময়ের স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কমেছে (বৃহস্পতিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। আজ, শুক্রবার তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে জানান আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহবিদেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, কলকাতায় উত্তুরে হাওয়ার তীব্রতা এ দিন থেকে বেড়েছে। তাই তাপমাত্রা খুব একটা না-কমলেও এ দিন শীত-শীত ভাবটা আরও প্রকট হয়েছে।
হাওয়া অফিস এ দিন জানায়, পরিমণ্ডলে এখনও কিছুটা জলীয় বাষ্প রয়ে গিয়েছে। তাই কলকাতা-সহ গোটা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেই ভোরের দিকে কুয়াশা হচ্ছে। সেই কুয়াশা থেকে যাচ্ছে সকাল সাড়ে ৬টা-৭টা পর্যন্ত। তাই সকালের দিকে তাপমাত্রা তেমন নামতে পারছে না। উত্তুরে হাওয়ার গতি বাড়লে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও কমতে থাকবে। তখন কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমে যাবে বলে আশা করছেন আবহবিদেরা। |
|
|
|
|
|