এক নাবালিকার শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পুলিশের হাতে নিগৃহীত হওয়ার অভিযোগ তুললেন এক যুবক। পুলিশের পাল্টা দাবি, শ্লীলতাহানির অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে নাবালিকারও। কিন্তু, যে যুবক প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন, তিনি পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন। পুলিশকে অকথ্য গালিগালাজও করেছেন।
কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) বিশাল গর্গ বলেন, “যাঁর বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ পুলিশ তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করেছে। কালীঘাট থানার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।” |
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে সন্তোষপুরের বাসিন্দা এক পরিচারিকার আট বছরের মেয়ের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। পরিচারিকার দাবি, কালীঘাট মন্দির এলাকার বাসিন্দা রাজা রাও নামে এক ব্যক্তি ওই কাজ করেছেন। মলয় রায় নামে কালীঘাটের এক বাসিন্দার বাড়িতে ওই মহিলা কাজ করেন। মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে মলয়বাবু ও তাঁর বোন কালীঘাট থানায় অভিযোগ জানাতে যান। মলয়বাবুর দাবি, তাঁকে পুলিশ মারধর করে থানার লক আপে আটকে রাখে। এমনকী তাঁর বোনের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয়।
পুলিশের পাল্টা দাবি, অভিযোগ দায়ের করার সময়ে মলয়বাবু ও তাঁর পাড়ার ছেলেরা থানার বাইরে দাঁড়িয়ে অকথ্য ভাষায় পুলিশকে গালিগালাজ করতে থাকেন। মলয়বাবুকে ভদ্র আচরণ করতে অনুরোধ করা হয়। কালীঘাট থানার বক্তব্য, থানার ভিতরে ও বাইরে সিসিটিভি লাগানো রয়েছে। মলয়বাবু বা তাঁর বোনের সঙ্গে কী আচরণ করা হয়েছে তা ওই টিভির ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে। থানার আরও দাবি, মলয়বাবুর পরিবারের পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। সে কথা তাঁরা থানা ছেড়ে যাওয়ার সময়ে লিখিত ভাবে জানিয়েও গিয়েছেন।
তবে মলয়বাবু রাতে দাবি করেছেন, তিনি ফের পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ থানায় জানিয়েছেন। |