তিন দিন পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি সিউড়ির নার্সিহোম কাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি। গত ৯ নভেম্বর রাতে তৃণমূলের ‘বহিষ্কৃত’ নেতা আশিস দে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে সিউড়ির একটি নার্সিংহোমে ঢুকে কর্মী ও চিকিৎসকদের উপরে চড়াও হলেন বলেন অভিযোগ। নার্সিংহোমের সিসিটিভিতে ধরাও পড়েছিল ওই দৃশ্য। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের অভিযোগে এবং সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসার পর তৎপর হয় পুলিশ। আশিসবাবু ও তাঁর এক সঙ্গীকে গ্রেফতারও করা হয়। কিন্তু পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের মধ্যে তিন দিন কেটে গেলেও পুলিশ ওই অস্ত্র উদ্ধার করতে এখনও ব্যর্থ। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বীরভূমের পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “পুলিশের তদন্ত চলছে। এখনই সংবাদমাধ্যমকে এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।”
অভিযোগ উঠেছিল, প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়ার পরও পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্চ করেনি। অভিযুক্ত নেতার গ্রেফতারের পর এখন তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ তুলছেন জেলার সিপিএম নেতৃত্বও। সিপিএমের সিউড়ি জোনাল কমিটির সম্পাদক দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “তিনদিন পার হলেও পুলিশ এখনও আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করতে পারেনি বলেই শুনেছি। দলমত নির্বিশেষে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত।” |