বহু বছর আগে এক ভাইফোঁটার দিন। ছোট্ট এক পথশিশু মিষ্টির আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল মিষ্টির দোকানে দোকানে। কিন্তু কেউই তাকে মিষ্টি কিনে দিচ্ছিল না। অনেকের বারণ সত্ত্বেও তাকে মিষ্টি কিনে দিয়েছিলেন বোলপুরের হরিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। ঠিক করেছিলেন ভাইফোঁটার দিন ওই পথশিশুদের জন্য কিছু একটা করবেন। তখন থেকেই শুরু হয় জামবুনি মাগা সেবা সমিতির সম্প্রীতির গণভাইফোঁটা। বৃহস্পতিবার ওই উদ্যোগই ৯ বছরে পা দিল। |
এ দিন এলাকার প্রায় ১৫০ জনেরও বেশি পথশিশুদের সম্প্রীতির গণভাইফোঁটা দেওয়া হয় জামবুনি মাগা মায়ের মন্দিরে। ছিলেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দাদা পীযূষ মুখোপাধ্যায়সহ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তি। আর ছিল জাসমিন, রাহুল, ছোটু, আবু, প্রিয়াঙ্কা, রমজান, পবন, মাসুদরা। আজ ছিল তাদের আনন্দের দিন। তাদের ভাইফোঁটা দিতে পেরে গর্বিত বিশ্বভারতীর শিক্ষা ভবনের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ঝিমলি মণ্ডল বা দশম শ্রেণির ছাত্রী সঞ্চিতা ঘোষেরাও।
উদ্যোক্তাদের প্রধান হরিপ্রসাদবাবু বলেন, “ওই শিশুর ডাক আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। তারপরই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সমাজের অবহেলিতদের নিয়ে ভাইফোঁটার আয়োজন করব। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সবাই শরিক হওয়ায় ভাল লাগছে।” এমন উদ্যোগের অংশীদার হয়ে উল্লসিত পীযূষবাবুও। তিনি বলেন, “দিদি অন্নপূর্ণা রাইসিনা হিলে গিয়েছেন ভাইকে ফোঁটা দিতে। তাঁর হাতে ফোঁটা না নিতে পারলেও এমন এক অন্য রকমের ভাইফোঁটায় সামিল হতে পেরে কম ভাল লাগছে না।” |