কেন্দ্র পাশে দাঁড়ালেও পশ্চিমবঙ্গে স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল যে ‘বেশ খারাপ’ সে তথ্য হাতে এসেছে বলে দাবি তাঁর। পরিস্থিতি বদলাতে সদ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া আবু হাসেম খান চৌধুরীর দাওয়াই, “কোন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা ফেরত গিয়েছে, কোন প্রকল্পের টাকা খরচ হয়নিসেই তালিকা বিভাগীয় অফিসারদের তৈরি করতে বলেছি। কয়েকদিনের মধ্যে ওই তালিকা হাতে পেয়ে যাব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই সব বিষয় নিয়ে কথা বলতে হবে।” পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, “এইমসের ধাঁচে রায়গঞ্জে হাসপাতাল তৈরি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা প্রয়োজন।”
মঙ্গলবার মালদহের কোতোয়ালিতে আবু হাসেম বলেন, “হাসপাতাল গড়তে রায়গঞ্জে স্বেচ্ছায় জমি দিচ্ছেন অনেকে। তবে শুধু জমি পেলে তো হবে না, রাজ্য সরকারের সহযোগিতা আবশ্যক। সে জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করা দরকার।” তিনি জানান, দু’-এক দিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়ে চিঠি পাঠাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ‘হাল’ নিয়ে ক্ষোভ আড়াল করেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর কথায়, “রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে কেন্দ্র প্রচুর টাকা দিয়েছে। অথচ, তার অধিকাংশই ফিরে গিয়েছে। বহু প্রকল্পের কাজ শিকেয়। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে রোগীদের বেড নেই। চিকিৎসক, যন্ত্রপাতিও কম। ডেঙ্গিতে মৃত্যু বাড়ছে। এ সব মোকাবিলার জন্য টাকা দরকার। আমরা প্রয়োজনমাফিক টাকা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু সে জন্য সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। ঝগড়া করলে হবে?” এ প্রসঙ্গে গুজরাতের উদাহরণও টেনে মন্ত্রী বলেন, “সে রাজ্যে উন্নয়নের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দল হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। এ রাজ্যে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম কেন এক হয়ে কাজ করতে পারবে না!”
আবু হাসেম জানান, হলদিয়ার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আগামী ১৯ নভেম্বর প্রদেশ কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল সেখানে যাবে। সেই দলে রাজ্য থেকে কংগ্রেসের তিন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও থাকবেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। |