আজ নামছেন নেইমাররা
নিজস্ব প্রতিবেদন |
কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের শক্তি ঝালিয়ে নিতে বুধবার নিউ ইয়র্কে নামছে নেইমার-অস্কারের ব্রাজিল। সুইডেন বনাম ইংল্যান্ড আবার স্টিভন জেরারের একশোতম ম্যাচ। কিছু দিন আগেই জার্মানির কাছে ০-৪ পিছিয়েও ৪-৪ ড্র করেছিল সুইডিশরা। তাই ইংল্যান্ডের কাছে যথেষ্ট কঠিন লড়াই। রুদ ফান নিস্তেলরুইয়ের বিদায়ী ম্যাচে আমস্টারডামে নেদারল্যান্ডসের সামনে জার্মানি। পশ্চিম এশিয়া আবার উজ্জ্বল মেসির উপস্থিতিতে। রিয়াধে সৌদি আরবের সঙ্গে ম্যাচ আর্জেন্তিনার। ২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ইতালি-ফ্রান্স মুখোমুখি হচ্ছে পারমায়। বিশ্বকাপ ও ইউরো জয়ী স্পেন খেলতে নামছে পানামার বিরুদ্ধে। চরম উত্তেজনাপূর্ণ আর-একটি ম্যাচ হতে চলেছে রাশিয়ায়। যেখানে ফাবিও কাপেলোর রাশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী যুরগেন ক্লিন্সম্যানের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
|
গেইলের ছক্কায় টেস্টে ইতিহাস |
ক্রিস গেইলের ব্যাটিং-বিক্রম টেস্ট ক্রিকেটে ইতিহাস গড়ল। ১৩৫ বছরের টেস্ট ইতিহাসে বাঁহাতি ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ওপেনারই প্রথম, যিনি টেস্টের প্রথম বলেই ছয় মারলেন। মঙ্গলবার ঢাকার শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশও প্রথম ওভারটা শুরু করেছিল অভিষেক টেস্টে নামা এক অফস্পিনারকে দিয়ে। বরিশালের সেই একুশ বছর বয়সি সোহাগ গাজির বলই লং অনের উপর দিয়ে গেল মাঠের বাইরে। পরে গেইলকে ২৪ রানে আউট করেন গাজি-ই। দিনের শেষে অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্বস্তিতে। পাওয়েল (১১৭) ও চন্দ্রপলের (১২৩ নঃআঃ) জোড়া সেঞ্চুরির সুবাদে তারা ৩৬১-৪।
|
গাব্বায় টেস্ট ড্র-ই থাকল |
প্রথম ইনিংসের ১১৫ রানের উদ্বৃত্ত নিয়ে কালিসদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েও অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্ট জেতার কঠিন স্বপ্ন শেষ দিনে সফল হল না। যদিও প্যাটিনসন-সিডলরা বারবার জোরাল আবেদন করে ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি আম্পায়ারদের উপরও চাপ তৈরি করছিলেন। কালিসের ধৈর্যশীল ৪৯ নট আউটের সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৪-৩ স্কোরে পৌঁছতেই গাব্বায় ড্র হচ্ছে পরিষ্কার হয়ে যায়। যে টেস্টে অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের অপরাজিত ২৫৯ রান স্মরণীয় হয়ে থাকল। সঙ্গে থাকছে ব্রিসবেনে ২৪ বছর ধরে এস্ট্রেলিয়ার টেস্টে অপরাজিত থাকার নজির। ১৯৮৮-তে এখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে শেষ বার টেস্ট হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। অন্য দিকে, ২০১০ ইডেন টেস্টের পর থেকে গ্রেম স্মিথের দক্ষিণ আফ্রিকা দেশের বাইরে টেস্ট না হারার নজিরও অক্ষুণ্ণ রাখল।
|
২০১২ এটিপি ডাবলস মরসুমে লিয়েন্ডার পেজ তিন নম্বরে বছর শেষ করলেন। যা ইদানীংকালে ৩৯ বছর বয়সি কলকাতার টেনিস তারকার সেরা বিশ্ব র্যাঙ্কিং। লিয়েন্ডার-স্টেপানেক জুটি ডাবলস টিম র্যাঙ্কিংয়েও বছর শেষে তিনে থাকলেন। এক নম্বর ব্রায়ান ভাইদের ও দ্বিতীয় মির্নি-নেস্টর জুটির পরেই। অস্ট্রেলীয় ওপেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে এ বছরও লিয়েন্ডার একটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব পেয়েছেন। ভারতীয়দের মধ্যে তাঁর পারফরম্যান্সই সেরা। লিয়েন্ডারের সঙ্গে অলিম্পিক ডাবলসে জুটি বাঁধতে অস্বীকার করা মহেশ ভূপতি এবং রোহন বোপান্না দু’জনই বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বছর শেষে প্রথম দশের ভেতর থাকতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিশ্ব ডাবলস মিটের ফাইনালিস্ট হলেও মহেশ র্যাঙ্কিংয়ে ১১ নম্বর এবং রোহন ১২-এ থাকলেন।
|
বাবাকে বিশ্ব খেতাব জকোভিচের |
বিশ্ব টেনিসের এক বনাম দুইয়ের লড়াইয়ে একের দখলেই থাকল বিশ্ব খেতাব। ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালস-এর ফাইনালে জকোভিচ ৭-৬ (৮-৬), ৭-৫ ফেডেরারকে হারিয়ে দ্বিতীয় বার এই খেতাব জিতলেন। বুকের সংক্রমণে জকোভিচের বাবা গুরুতর অসুস্থ। গত রাতে লন্ডনের ও-টু এরিনায় ইন্ডোর হার্ডকোর্টে এ বারের এটিপি মরসুমের শেষ ট্রফি হাতে নিয়ে জকোভিচ বলেন, “আমি এখানে খেলার সময় বাবা ভীষণ অসুস্থ ছিলেন। এখন সামান্য ভাল। আমার এই ট্রফি বাবার জন্যই জেতা।”
|
হাসপাতালে গিয়েছিলেন চেক-আপের জন্য। কোমরের ব্যথা হচ্ছিল ক’দিন ধরেই। ডাক্তার দেখে তখনই কোমরের অস্থিসন্ধি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। ডাক্তার জানান, অস্ত্রোপচার সফল। বুধবারই বাড়ি ফিরছেন তিনি। জানা গিয়েছে, অল্প দিনের মধ্যেই হাঁটতে পারবেন তিনি। |