|
|
|
|
উইঢিবির মাটিতে তৈরি হয় প্রতিমা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একটি গ্রামে, অন্যগুলি শহরে। অথচ প্রতিটি পুজোরই প্রাণ আন্তরিকতা ও ঐতিহ্য। সেই ঐক্যে আজও অমলিন মেদিনীপুর শহরের সিদ্ধেশ্বরী, বটতলা কালী মন্দির, এলআইসি চকে সুচেতনা ও কেশপুরের ধলহারা গ্রামের পুজো।
কালীপুজো মানেই যেখানে মদকাসক্ত যুবকের দাপাদাপি, শব্দবাজি, অশান্তি-সহ নানা বিধি-নিষেধ সেখানে ব্যতিক্রম মেদিনীপুর শহরে সিদ্ধেশ্বরী, বটতলা কালী মন্দিরের পুজো। সেখানে কালীপুজো মানেই বিপুল উৎসাহ, প্রচণ্ড ভিড়। সারা শহর যেন ঝাঁপিয়ে পড়ে এই পুজোতে। দু’টি পুজোই শহরবাসীর আপন পুজো। ৩৬ বছরের পুরানো মেদিনীপুর শহরের এলআইসি চকে সুচেতনার পুজোও কালীপুজোর অন্যতম আকর্ষণ। এই পুজোয় সামিল হয় সম্ভ্রান্ত পরিবারের গৃহবধূ থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া মানুষ, সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ থেকে সদ্য কিশোরী, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই। পুজোর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ধুনুচি নাচ। এই নৃত্য আসলে প্রতিযোগিতা। |
|
বটতলা কালীমন্দিরে চলছে পুজো। —নিজস্ব চিত্র। |
প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃতও করা হয়। এবার ধুনুচি নাচের সঙ্গে রয়েছে আদিবাসী নৃত্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোবাজি প্রদর্শনী।
কেশপুরের ধলহারার কালীপুজো এ বার ১৬০ বছরে পড়ল। এই পুজো ঘিরে রয়েছে লোকশ্রুতিও। গ্রামে ভয়ানক বিপদ। মহামারিতে গ্রাম উজাড় হওয়ার দশা। ডাক্তার, ওষুধ, ঝাড়ফুঁক কিছুতেই সুরাহা না মেলায় কুলগুরুর নির্দেশে কালী পুজো শুরু হয় ধলহারার ভট্টাচার্য পরিবারে। পুজো শুরুর পরেই অসুখ উধাও। এখনও তান্ত্রিক মতে সে পুজো হয়ে চলেছে। পুজোর প্রতিমা তৈরি হয় গ্রামে তৈরি উই ঢিবির মাটি দিয়ে। পরিবারের সদস্য তপন ভট্টাচার্যের কথায়, “বিজয়া দশমী থেকে কালী প্রতিমা তৈরি শুরু হয়। তার আগে গ্রামের কোথাও না কোথাও ঠিক একটা উইঢিবি হবেই। এটাই দেবীর মহিমা।” পুজোর জন্য রয়েছে মণ্ডপ। সেখানে রয়েছে পঞ্চমুণ্ডির আসনও। তান্ত্রিক মতে পুজো শেষ করে পরের দিন সন্ধেতেই প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। আগের মতোই পুজোয় ছাগবলি হয়। গ্রামের বহু মানুষ মানত করেন। তাঁরাও ছাগবলি দেন। শুধু পুজো নয় চলে পাত পেড়ে খাওয়াও। |
|
|
|
|
|