শব্দাসুরের তাণ্ডবে নাকাল শহরবাসী
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কালীপুজোর রাতে দেদার ফাটল শব্দবাজি। উচ্চৈস্বরে মাইক ও আলোর বাজির শব্দেও জেরবার হতে হল শহরবাসীকে। অভিযোগ এমনই। শুক্রবার রাতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে রাত দশটা পর্যন্ত ৫৪টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অধিকাংশই শব্দবাজি, বাকি মাইকের দৌরাত্ম্য। বিধাননগর, কলকাতা, হাওড়া-সহ শহর ও শহরতলিতে শুক্রবার রাতের ঘটনা। শব্দবাজি রুখতে পুলিশ-প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বিপুল শব্দবাজি আটক করেছিল। পুজোর রাতেও পুলিশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারা শহরের বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালান। তা সত্ত্বেও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে বিধাননগর, যাদবপুর, এন্টালি, কসবা, পাটুলি, লেক গার্ডেন্স, যোধপুর পার্ক, কালিকাপুরের পাশাপাশি উত্তর কলকাতা থেকেও শব্দবাজি নিয়ে অভিযোগ আসে। কাশীপুর থানার কাছেই শব্দবাজি ফাটছে বলে জানান বাসিন্দারা। রামকৃষ্ণপুর, সালকিয়া, মল্লিক ফটক, ইছাপুর, কদমতলা-সহ হাওড়া শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে। ভবানীপুর পুলিশ হাসপাতাল এলাকাতেও দেদার শব্দবাজি ফেটেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, রাত জুড়ে কলকাতা থেকে বিপুল শব্দবাজি আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে। বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় বিধাননগর, লেকটাউন, বাগুইআটি, নিউটাউন এলাকায় একই অবস্থা। তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুড়ি কেজির বেশি শব্দবাজি আটক করা হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শব্দবাজির দাপটও বেড়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
|
হাতির হানায় ফসলের ক্ষতি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গত ক’দিনে খড়্গপুরের কলাইকুণ্ডা ও নয়াগ্রামের বিভিন্ন এলাকা মিলিয়ে হাতির দল প্রায় ১০০ বিঘা জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে বন দফতর জানাল। খড়্গপুরের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “ক্ষয়ক্ষতির হিসেব চলছে। প্রাথমিক ভাবে দেখা গিয়েছে, ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ বিঘা জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলেই দফতরের ধারণা। দলমার দলটির বেশিরভাগ হাতিই এখন নয়াগ্রামের বড়পাট অঞ্চলে রয়েছে। ছোট একটি দল আছে কলাইকুণ্ডা রেঞ্জ এলাকায়। ওই দলে ১৫-২০টি হাতি রয়েছে। নয়াগ্রামের দলটিতে আছে ১২০টি হাতি। এক সময় পুরো দলটি গড়বেতা, গোয়ালতোড়ের বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে। পরে রামগড়, লালগড়ের কয়েকটি এলাকা ঘুরে মেদিনীপুর সদর ব্লকে ঢুকে পড়ে। কয়েকদিন ধরে চাঁদড়া, গুড়গুড়িপাল রেঞ্জ এলাকায় দলটি ছিল। পরে কাঁসাই নদী পেরিয়ে খড়্গপুরের কলাইকুণ্ডা রেঞ্জের জোটিয়ার জঙ্গলে পৌঁছয়। সেখান থেকে নয়াগ্রাম। ডিএফও বলেন, “১৫- ২০টি হাতি এখনও কলাইকুন্ডায় রয়েছে। দলটি নিজে থেকে কোন দিকে যায়, তা দেখা হচ্ছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছি।” হাতিরা একই জায়গায় থেকে গেলে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। ডিএফও’র বক্তব্য, “এলাকা ছাড়তে না চাইলে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা হবে।”
|
বাজির দাপটে কান ঝালাপালা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগেই। সেই মতো মঙ্গলবার সন্ধে হতেই মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোটর বাইকে টহল দিল পুলিশ। চলল নজরদারি। কালীপুজো ও দীপাবলি ঘিরে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতেই ছিল এই বন্দোবস্ত। দুই শহরের প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই কালীপুজো হয়। আলোর উৎসব ঘিরে উৎসাহ- উদ্দীপনা থাকে। এ বারও ছিল। এই সময় আবার শব্দবাজির তাণ্ডব চলে। সমস্যায় পড়েন পথচলতি সাধারণ মানুষ। কোথাও বা পুজো দেখতে বেরিয়ে মদ্যপ যুবকদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হন মহিলারা। এ বার নজরদারির ফলে মদ্যপদের দৌরাত্ম্য কমানো গেলেও শব্দবাজির তাণ্ডব ঠেকানো যায়নি। রাত বাড়তেই বেড়েছে বাজির দাপট। পুলিশের অবশ্য দাবি, অন্য বারের তুলনায় এ বার কম বাজি ফেটেছে। পুলিশের পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকায় নজরদারি চালিয়েছেন কালীপুজোর উদ্যোক্তারাও। জেলা পুলিশ-প্রশাসনই উদ্যোক্তাদের কাছে এই আবেদন করেছিল। পুলিশ-প্রশাসনের বক্তব্য, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটির একটা ভূমিকা থাকে। কমিটির সদস্যরা উদ্যোগী হলে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও কমে যায়।
|
বন দফতরের নির্দেশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
গরুমারা জাতীয় উদ্যানের সাফারিতে হুডখোলা ও নেওড়া জঙ্গল সাফারির ছোট গাড়ি-সহ সব গাড়িকে আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে বাণিজ্যিক নম্বর করাতে নির্দেশ দিল বনবিভাগ। মঙ্গলবার বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। গত রবিবার গরুমারার একটি সাফারি গাড়ি দুর্ঘটনায় এক পর্যটক এবং গাড়ির চালকের মৃত্যু হয়। গাড়িটি ব্যক্তিগত নম্বরের হওয়ায় গরুমারায় গাড়ি ব্যবসা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ডিএফও বিদ্যুৎ সরকার জানান, ব্যক্তিগত নম্বরের গাড়ি নিয়ে পর্যটকদের জঙ্গলে ঘোরানো আর চলবে না। সব চালককেই বাণিজিক্য নম্বরের গাড়ি ব্যবহার করতে হবে।
|
অবৈধ বাজি উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সদর ব্লকের ছেড়ুয়া, বিশ্রীপাট প্রভৃতি এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু অবৈধ শব্দবাজি উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে এই সব এলাকায় তল্লাশি-অভিযান হয়। সদর ব্লকের ছেড়ুয়ায় বাজি তৈরি হয়। বহু পরিবার এই কাজে যুক্ত। এখানে অবৈধ শব্দবাজিও তৈরি হয়। পরে তা শহর ও সংলগ্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন উদ্ধার হওয়া অবৈধ শব্দবাজির বাজারমূল্য ৫ হাজার টাকারও বেশি। |