নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
ডানলপের সাহাগঞ্জ ইউনিট খোলার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সেই ‘আগ্রহ’ আদৌ কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে সংশয়ে শ্রমিকেরা। ফলে, বকেয়া বেতনের দাবিই এখন তাঁদের প্রাথমিক চাহিদা।
সোমবার রাতে সিটু, আইএনটিটি ইউসি এবং আইএনটিইউসি-র প্রতিনিধিরা চুঁচুড়ায় বৈঠকে বসেন। সব সংগঠনকে নিয়ে গঠিত জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি-র দাবি, বকেয়া বেতন আগে মিটিয়ে দিন কর্তৃপক্ষ। তারপরে খোলা হোক কারখানা।
কমিটির নেতা তথা আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি বিদ্যুৎ রাউত বলেন, “বকেয়া টাকা দ্রুত মিটিয়ে কর্তৃপক্ষ তারপর কারখানা খুলুন এটাই চান সকলে।” সিটুর তরফেও শ্রমিকদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন সংগঠনের সম্পাদক বিতান চৌধুরী। শ্রমিকদের সিদ্ধান্ত মঙ্গলবারই মালিকপক্ষকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
ডানলপ কর্তৃপক্ষের তরফে ভাইস প্রেসিডেন্ট (কমিউনিকেশন) ধ্রুবজ্যোতি নন্দী বলেন, “কমিটি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালেও এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।” তাঁর সংযোজন, “আগে কর্তৃপক্ষের তরফে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের জানিয়েছিলাম। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সে সব নিয়ে মতামত জানাননি তাঁরা।”
দিন কয়েক আগে কর্তৃপক্ষের তরফে একটি প্রতিনিধিদল সাহাগঞ্জ ইউনিট ঘুরে যায়। প্রতিনিধিদলের সদস্যেরা দেখেন, কারখানার প্রচুর যন্ত্রপাতি খোওয়া গিয়েছে। কারখানা ফের চালু করতে হলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও ঢেলে সাজতে হবে। জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি-র নেতাদের অভিযোগ, “বর্তমানে সাহাগঞ্জ ইউনিট যে-অবস্থায় আছে, তাতে কারখানা পাকাপাকি চালু করা হবে কি না, তা শ্রমিকদের কাছে স্পষ্ট নয়। তাই তাঁদের একাংশ উৎসাহ হারাচ্ছেন।” |