|
|
|
|
সম্পাদক সমীপেষু... |
আনন্দ করুন, অন্যের ক্ষতি করে নয় |
ঘর তো কেবল স্থান নয়, সম্পর্কেরও আশ্রয়। ঘর ভাঙারও
তাই নানান অর্থ। চলচ্চিত্র উৎসবের কিছু ছবির সূত্রে লিখছেন শিলাদিত্য সেন |
শব্দদূষণের মাত্রা দুরন্ত গতিতে বেড়ে চলেছে, যার ক্ষয়ক্ষতির দিকটা কারও অজানা নয়। মাথাধরা, বধিরতা, মানসিক রোগ সবই এই দূষণের ফল। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। স্কুল, কলেজ, হাসপাতালের সামনে উচ্চস্বরে মাইক বাজানো একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। হে শিক্ষিত সমাজ, আনন্দ করুন, কিন্তু অন্যের ক্ষতি করে নয়। অকারণে গাড়ির হনর্র্ ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজনৈতিক মিটিং-মিছিলে মাইকের বিকট শব্দ সব কিছুকে ছাপিয়ে যায়। এ ছাড়া, ভোটে জয়লাভ করলে পটকা ফাটানো সভ্য-ভদ্র সমাজে এক অভিনব কালচারে পরিণত হয়েছে। দীপাবলির সময় আতসবাজির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার শিশু, বয়স্ক, শিক্ষার্থী ও অসুস্থ মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তুলছে।
|
|
এখন মনে হয়, আমাদের মানবিকতা, মূল্যবোধ, দায়িত্ব ও কতর্ব্য কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। আরও মনে হয়, সব আনন্দের বীজ লুকিয়ে আছে শব্দের মধ্যে। এই শব্দদূষণ কমানোর দায় কি শুধু পুলিশ প্রশাসন ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের? সুনাগরিক হিসাবে আমাদের কি কোনও দায়দায়িত্ব নেই?
দিলীপকুমার পাত্র। শিক্ষক, রাধাবল্লভচক সারদাময়ী বিদ্যাপীঠ (হাইস্কুল), ময়না, পূর্ব মেদিনীপুর
|
উচ্চশিক্ষার ‘সাফল্য’ তো তা হলে বাম আমলেই এসেছিল! |
সুকান্ত চৌধুরী (‘উচ্চশিক্ষার মরুভূমিতে...’, ৩১-১০) বিস্তারিত ভাবে বর্তমান রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত নীতির খামতিগুলি দেখিয়ে দিয়েছেন। আশা করি, রাজ্য সরকার মতান্ধতার শিকার না-হয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু অধ্যাপক চৌধুরীর লেখা থেকে এ রাজ্যের উচ্চশিক্ষার যে প্রকৃত ছবি উঠে আসে, তা যুগপৎ বিস্ময়কর এবং আশাপ্রদ। বিগত কয়েক বছর ধরে প্রচারমাধ্যম ও বিদ্বজ্জনেরা ক্রমাগত বলে আসছিলেন যে, পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষার মান সর্বভারতীয় নিরিখে পড়তির দিকে। স্বভাবতই, শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজের বৃহৎ অংশ এই প্রচারে প্রভাবিত হয়ে হীনম্মন্যতায় ভুগতেন এবং এই অধঃপতনের দায় নিতে হত তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারকে। মানুষের রায়ে বামফ্রন্ট ক্ষমতা থেকে অপসারিত। তাদের নানা কৃতকর্মের মূল্যায়ন হচ্ছে। কিন্তু আজ শ্রীচৌধুরীর মতো প্রথিতযশা, নিরপেক্ষ অধ্যাপক যখন লেখেন যে, পশ্চিমবঙ্গ আজও উচ্চশিক্ষায় ভারতে প্রথম সারিতে, তখন স্বাভাবিক ভাবেই মনে হয় যে, এই সাফল্য নিশ্চয়ই বর্তমান সরকারের দেড় বছরের সময়কালে আসেনি। তা হলে তো বলতে হয়, বাম আমলেই এসেছিল এই সাফল্যযা ছিল সেই সময় অপ্রচারিত। তাই শ্রীচৌধুরীর এই মতামত আশাপ্রদ হলেও অবশ্যই বিস্ময়কর।
শ্রীমন্ত মিত্র। কলকাতা-২৯
|
পরিব্রাজক বিবেকানন্দ |
জয়ন্ত ঘোষাল (‘প্রচারে স্বামীজি...’, ১১-১০) বলেছেন, বিবেকানন্দ ১৮৯০ সালে ‘ভারতদশর্ন যাত্রা’ করেছিলেন। পাঁচ বছর ধরে চলেছিল সেই যাত্রা। শ্রীঘোষালের বক্তব্যে একটু ত্রুটি আছে।
স্বামী বিবেকানন্দ ভারত পরিক্রমায় বের হয়েছিলেন জানুয়ারি, ১৮৯০ সালে এবং সেই যাত্রার পরিসমাপ্তি হয়েছিল কন্যাকুমারী পৌঁছে ১৮৯২ সালের ডিসেম্বরে। অর্থাৎ বিবেকানন্দর ‘ভারতদর্শন যাত্রা’ চলেছিল তিন বছর ধরে, পাঁচ বছর ধরে নয়। উল্লেখ্য, পাঁচ মাস পর ১৮৯৩ সালের ৩১ মে তিনি ধর্মমহাসভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে সমুদ্রপথে আমেরিকা যাত্রা করেন।
বিমলেন্দু ঘোষ। কলকাতা-৬০
|
মেডিক্যালের লিফট পাঁচ মাস খারাপ |
সরকারি হাসপাতালের পরিষেবার কিছুটা উন্নতি হলেও কিছু জরুরি বিষয়ে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত। যেমন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মেন ওপিডি বিল্ডিং-এর সব কটি লিফ্ট পাঁচ মাস ধরে খারাপ। ফলে, রোগীদের তিন-চার তলা পায়ে হেঁটে উঠে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে জীবন ফিরে পাওয়ার বদলে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
বিজনবিহারী হাজরা। কলকাতা-৭৭
|
আমরা পারব না কেন |
২০১২’র জুলাই মাস পর্যন্ত গ্রেটার মুম্বই পুরসভা ১৭ লক্ষ মানুষকে আর্থিক জরিমানা করেছে। তাদের দোষ, তারা রাস্তায় থুতু ফেলেছে। (‘সাংখ্য’, রবিবাসরীয়, ৪-১১) ওরা পারলে আমরা পারব না কেন?
অরূপরতন আইচ। কোন্নগর, হুগলি |
|
|
|
|
|