|
|
|
|
|
ভাইফোঁটায় চেনা কবিরাজি,
অচেনা পোস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
পুজো গিয়েছে। কিন্তু তাতে কী? কালই ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। কারও কারও ভাইফোঁটা তো আবার আজই।
কচি থেকে বুড়ো, পেটুক থেকে পেটরোগা, ভাইদের পাতে কী দেবেন দিদিরা?
বিজয়া পার করে ফের ঝাঁপি খুললেন পাকা রাঁধুনিরা।
|
পোস্তর বড়ার রসকম্ভা |
৩৯ টেগোর প্লেসের শর্মিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায় যোগাসন শেখান। যদিও রান্নাটাই নেশা। পোস্তর বড়ার রসকম্ভার প্রণালী শেখালেন তিনি-- প্রথমে পোস্ত বেটে নিতে হবে। তাতে পেঁয়াজ কুচো, কাঁচালঙ্কা, নুন, চিনি দিয়ে ভাল করে মেখে নিয়ে বড়ার আকারে গড়ে অল্প তেলে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে আলাদা পাত্রে তুলে রাখতে হবে। এ বার কড়াইয়ে তেল দিয়ে গোটা জিরে তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে বাটা মশলা, আন্দাজমতো নুন, চিনি দিয়ে ভাল করে কষাতে হবে। মশলা ভাজার গন্ধ বেরোলে সামান্য জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে। এরপর ঝোল ফুটে এলে প্লেটে রাখা বড়ার উপর ঢেলে ঘি, গরম মশলা দিয়ে দিতে হবে। গরম ভাতের সঙ্গে খেতে বেশ ভালই লাগে পদটি।
কী লাগে
পোস্ত দেড়শো গ্রাম, একটি পেঁয়াজ বড় করে কুচোনো, কাঁচা লঙ্কা দু’টি কুচোনো, সরষের তেল চার বড় চামচ, ঘি এক চামচ, গরম মশালা অল্প, নুন ও চিনি পরিমাণ মতো, আদা বাটা এক চামচ, জিরে বাটা এক চামচ।
|
চিকেন কবিরাজি |
চিকেন কবিরাজি শেখালেন হাসপাতাল রোড, বি-জোনের বধূ ঋতা আচার্য। তাঁর জবানিতে প্রথমে কড়াইয়ে সাদা তেল দিতে হবে। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচো, আদা কুচো, রসুন কুচো ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে হালকা ভাজতে হবে। তার পরে কিমা করে কাটা চিকেন দিয়ে নাড়তে হবে। এর পরে লেবুর রস, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে নাড়তে হবে। হাল্কা লাল হয়ে এলে নামিয়ে নিতে হবে। এ বার আলাদা পাত্রে ৫টি ডিম ফাটিয়ে চিকেনে দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিতে হবে। তেল গরম হলে ডিম মাখানো চিকেন তেলে দিতে হবে। পরিমাণ মতো নুন দিয়ে নাড়তে হবে। মাংসের রং বাদামি হলে ধনে পাতা ও কুচানো লঙ্কা ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
কী লাগে
দু’শো গ্রাম মুরগির মাংসের কিমা, পাঁচশো গ্রাম পেঁয়াজ, এক চামচ আদা বাটা, এক চামচ রসুন বাটা, ৫টি লঙ্কা, লেবুর রস দুই চা চামচ, জিরে গুঁড়ো দু’চামচ, লঙ্কাগুঁড়ো আধ চামচ, ডিম পাঁচটি, নুন পরিমাণ মতো, ভাজার জন্য সাদা তেল।
|
কাতলা মাছের প্যাটিস |
উদয় শঙ্কর বীথি, সিটি সেন্টারের বাসিন্দা শমিষ্ঠা দাস পেশায় চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ। কাজের ক্লান্তি ভুলতে প্রিয়জনদের এটা-ওটা রান্না করে খাওয়ান। হঠাৎ বাড়িতে অতিথি এলে সহজেই তাঁদের মন জয় করার মতো একটি রান্না শেখালেন তিনি। নাম কাতলা মাছের প্যাটিস। তাঁর নির্দেশ ময়দা মেখে দু’ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। মাছ সিদ্ধ করে কাঁটা ছাড়িয়ে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচালঙ্কা বাটা একটি পাত্রে মেখে নিতে হবে। কড়াইয়ে সামান্য তেল দিয়ে সমস্ত মাছ কষিয়ে নিতে হবে। সামান্য নুন, মিষ্টি দিয়ে তেল বের করে গরম মশলা দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। ময়দার ছোট লেচি কেটে লুচির মতো বেলে নিতে হবে। মাঝে মাছের পুর দিতে হবে। দুই পাশ থেকে ভাঁজ করে নিতে হবে। এ বার হাতের কায়দায় মাথার দিকে একপাশ মুড়ে মাছের মাথার মতো এবং নীচের দিক লেজের মতো আকৃতির করতে হবে। মাথার নির্দিষ্ট অংশে লঙ্কা গুঁজে দিয়ে চোখ করে নিতে হবে। কড়াইয়ে অল্প তেল দিয়ে গরম হলে সেগুলি ছেড়ে দিতে হবে। সোনালি করে ভেজে নামিয়ে নিতে হবে।
কী লাগে
ময়দা আড়াইশো গ্রাম, সাদা তেল তিন টেবিল চামচ, নুন পরিমাণ মতো, খাবার সোডা সামান্য, কাতলা মাছের পেটি ৫০০ গ্রাম, গোটা রসুন, আদা দেড় ইঞ্চি, পেঁয়াজ বড় মাপের, গরম মশলা গুঁড়ো, সরষের তেল দেড়শো গ্রাম।
|
সংকলন: অর্পিতা মজুমদার
ছবি: বিকাশ মশান |
|
|
|
|
|