ফিল্মি কায়দায় ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালাল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক বন্দি।
শুক্রবার ভোরে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আলুয়াবাড়ি স্টেশনে ঘটনাটি ঘটেছে। শেখ মোস্তাফা নেওয়াজ নামে ওই বন্দিকে মেদিনীপুর থেকে জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল জেলে স্থানান্তর করা হচ্ছিল।
একটি খুনের মামলা-সহ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মোস্তাফা ওরফে ভোম্বল ২০০৭ সালের অক্টোবর থেকে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছিল। তার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা শহর এলাকার ছত্রগঞ্জে। সম্প্রতি জেলের মধ্যেই মোস্তাফার কাছে একটি মোবাইল পাওয়া যায়। সেই জন্য তাকে মেদিনীপুর থেকে জলপাইগুড়ি জেলে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথমে তাকে কলকাতায় আনা হয়। পরে কামরূপ এক্সপ্রেসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল জলপাইগুড়ি। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ট্রেন যখন আলুয়াবাড়ি স্টেশনে ঢুকছে, তখন শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে ট্রেন থেকে ঝাঁপ মারে মোস্তাফা। প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে ট্রেনের গতি কম ছিল। তাই ঝাঁপ দিয়েও সহজে পালাতে পারে সে। সঙ্গে থাকা মেদিনীপুরের এএসআই মানস পাত্র পিছু ধাওয়া করেও ওই বন্দির নাগাল পাননি। সকালেই ডালখোলা রেল পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। রেল পুলিশের ডালখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক নিমাইচন্দ্র সরকার জানান, লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। ওই আসামির খোঁজে তল্লাশি চলছে। ইসলামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুবিমল পাল বলেন, “বন্দির চলন্ত ট্রেন থেকে পালানোর খবর আশপাশের সমস্ত এলাকায় দেওয়া হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত কামরায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই বন্দিকে। বাঁ হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। কামরায় ছিল অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তিন পুলিশকর্মী ও এক আধিকারিক। এত সতর্কতার পরেও ওই বন্দি কী ভাবে পালাল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে বন্দির সঙ্গে থাকা পুলিশকর্মী ও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ মিললে, তাঁদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হবে। |