|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
নির্মোহ মূল্যায়নে অরুচি |
বইপোকা |
‘বাবাকে বলতে শুনেছিলাম‘‘...’ জওহরলাল নেহরু ও ‘...’ গান্ধিজি এঁরা দুজনেই দেশভাগের জন্য দায়ী। এরা বিপক্ষে চলে গিয়েছিলেন। মানুষকে শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন করার ঘৃণ্য রাজনীতি ও ষড়যন্ত্র।’’ এসব কথা বাবা অফ দ্য রেকর্ড রাখতে বলেছিল। দুই সাংবাদিক স্টেটমেন্টটা পরে ছেপে দিয়েছিলেন।’ লিখিয়াছেন ঋত্বিককুমার ঘটকের কন্যা সংহিতা ঘটক তাঁহার ঋত্বিক এক নদীর নাম (দে’জ) গ্রন্থে। এই জীবন-আলেখ্য পরিচালকের জীবনে নূতন আলো ফেলিয়াছে। বঙ্গমনে ঋত্বিক ঘটক কেবল এক চলচ্চিত্র-পরিচালক নহেন, সৃজনসম্ভব অথচ আত্মধ্বংসী এক বৃহৎ বাঙালির দৃষ্টান্ত। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই যে সেই সম্ভাবনাটির নির্মোহ মূল্যায়নে অদ্যাবধি বঙ্গজনের অরুচি। তাঁহার যে অংশটি নেশাগ্রস্ততায় টালমাটাল, খিস্তি-খেউড়ে আবিল তাহাতেই যেন প্রচারের চড়া আলো পড়িয়াছে বারংবার। তাহার এক বড় প্রমাণ তাঁহার অধিকাংশ গ্রন্থের প্রচ্ছদে (আলোচ্যটিরও) ব্যবহৃত হইয়া থাকে যুক্তি তক্কো গপ্পো-র সেই ‘কেন চেয়ে আছ গো মা’-চিত্রটি। অথচ যুক্তি তক্কো গপ্পো-র ঋত্বিকই ত একমাত্র ঋত্বিক নহেন, অযান্ত্রিক-সুবর্ণরেখা-মেঘে ঢাকা তারা-কোমল গান্ধারের সুস্থ, পরিচ্ছন্ন, স্থিরলক্ষ্য ঋত্বিকও আছেন। যিনি বঙ্গজনের বাংলা-বিপ্লবের আওতায় পড়েন না। সেই ঋত্বিকের পুনর্মূল্যায়নের কাজটির সূচনা হউক এখনই। তদুপরি বার্ষিকীপ্রিয় বঙ্গজনকে জানাইয়া রাখি, আর বৎসরতিনেক পরেই ঋত্বিকের জন্মের নবতিপূর্তি ঘটিবে। |
|
|
|
|
|