ফের চুরি বনগাঁয়। এ বার একটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। যার ফলে ফের বনগাঁর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
বৃহস্পতিবার রাতে ধর্মপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে চুরি যায় একটি কম্পিউটার। দুষ্কৃতীরা গ্রিল-সহ দরজার ৭টি তালা ভেঙে ঢোকে। ওই কম্পিউটারে পঞ্চায়েতের নানা তথ্য ছিল। শুক্রবার সকালে পঞ্চায়েতের তালা খুলে কর্মীরা দেখেন কম্পিউটার ঊধাও। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে পঞ্চায়েত অফিসে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের আটকে রাখেন। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি ওঠে। পরে বনগাঁ থানার আইসি জাফর আলম ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত জনতা তাঁর উদ্দেশে কটূক্তি করে এবং মারধরের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে গ্রামবাসীরা শুক্রবার বনগাঁ-বাগদা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। মঙ্গলবার এই পঞ্চায়েতেরই অধীন মণিগ্রাম হাইস্কুল থেকে দুষ্কৃতীরা ১০টি কম্পিউটার চুরি করে। |
এ ভাবে একের পর এক চুরি-ডাকাতি, খুন, খুনের চেষ্টা, প্রকাশ্যে বোমাবাজি, গুলি চালানোর ঘটনায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। বেড়েছে চোরাচালান ও পাচার। কয়েক মাস আগে বনগাঁর বাটার মোড়ের একটি সোনার দোকানে সন্ধ্যায় ডাকাতির পরে ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে নামেন। পুলিশ এখনও সেই ঘটনার কোনও কিনারা করতে পারেনি। ব্যবসায়ীরা হতাশ। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পুলিশের একাংশের যোগসাজশ রয়েছে। সেই কারণে দুষ্কৃতীদের ধরা যাচ্ছে না বলে তাঁদের দাবি। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশি হেনস্থারও অভিযোগ রয়েছে তাঁদের। এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির ভূমিকা নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পুলিশের একাংশের যোগসাজশ বা থানায় অভিযোগকারীদের হেনস্থার যে অভিযোগ উঠছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। দুষ্কৃতীদের ধরতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” |