|
|
|
|
গাঁজা, চোরাই বাইক-সহ গ্রেফতার রমেশের শাগরেদ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উত্তরপাড়া |
হুগলি শিল্পাঞ্চলের কুখ্যাত সমাজবিরোধী রমেশ মাহাতোর শাগরেদ অমিত চক্রবর্তী ওরফে গ্যাটিসকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের দাবি, ধৃতের কাছ থেকে ২৩ কিলোগ্রাম গাঁজা এবং একটি চোরাই মোটরবাইক উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার ধৃতকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়।
|
—নিজস্ব চিত্র। |
উত্তরপাড়া, কোন্নগর, রিষড়া, শ্রীরামপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রমেশের ‘দাদাগিরি’ চলত। ‘পেশিশক্তি’ কাজে লাগিয়ে জমি কেনাবেচা এবং ফ্ল্যাট তৈরিতে ওস্তাদ এই সমাজবিরোধী। ২০১১ সালের জুন মাস থেকে সে অবশ্য জেলবন্দি। পুলিশের দাবি, রমেশ এবং তার বেশ কিছু সাগরেদকে গত এক বছরে গ্রেফতার করা গিয়েছে। যদিও, রমেশের ‘সাম্রাজ্য’ নিশ্চিহ্ন হয়নি এখনও। তার কাজকর্মে আদৌ ভাটা পড়েনি। গরাদের ভিতরে থেকেই বাইরে থাকা নানা মাপের দুষ্কৃতীদের দিয়ে অন্ধকার জগতের কাজ চালাচ্ছে রমেশ। পুলিশকর্তাদের একাংশের অভিযোগ, জেল থেকে অবাধে মোবাইলে বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রমেশ। সাগরেদদের পরামর্শ দিচ্ছে।
পুলিশের দাবি, রমেশের হয়ে হুগলি শিল্পাঞ্চল জুড়ে তোলাবাজি চালাচ্ছিল গ্যাটিস। রমেশ মোবাইলে তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। সম্প্রতি রিষড়ার দাগি দুষ্কৃতী সমর চৈন ওরফে লেবু খুন হয়। অভিযোগ ওঠে, রমেশের অঙ্গুলিহেলনেই তাকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনাতেও গ্যাটিসের নাম জড়িয়েছে। পুলিশ দীর্ঘদিন ধরেই তাকে খুঁজছিল। বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নবগ্রামে ফাঁদ পাতেন উত্তরপাড়া থানার আইসি প্রিয়ব্রত বক্সি। তদন্তকারীদের দাবি, বাইকে গাঁজা নিয়ে বালি থেকে রিষড়ায় যাচ্ছিল পাচারের উদ্দেশে। সেই পথেই নবগ্রামে পুলিশের জালে আটকা পড়ে সে। পুলিশ জানায়, বছর ছাব্বিশের গ্যাটিস কোন্নগরের সিআর মুখার্জি রোডের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই সমাজবিরোধী কাজকর্মে জড়িত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় খুন, তোলাবাজি-সহ অন্তত ২৫টি মামলা রয়েছে। ১৯৯৮ সালে শেষ বার সে গ্রেফতার হয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ইদানীং সে বালির নিশ্চিন্দায় ঘাঁটি গেড়েছিল। জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, লেবুকে খুনের কথা স্বীকার করেছে গ্যাটিস। ওই পুলিশকর্তা জানান, ওই ঘটনায় বাবাই সরকার ওরফে গুঁজিয়া এবং মহম্মদ আকবর ওরফে গুড্ডু নামে আরও রমেশের আরও দুই শাগরেদকে খোঁজা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|