|
|
|
|
স্কুলের অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগ অভিভাবকদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যান্ডেল |
বর্ধিত মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলনের জেরে ব্যান্ডেলের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী হলেন অভিভাবকেরা। ছাত্রীদের পড়াশোনার সমস্যার কথা জানিয়ে শুক্রবার তাঁরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্যা মেটানোর দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য শেষমেশ অভিভাবক এবং আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে স্কুল সূত্রের খবর।
ব্যান্ডেলে মেয়েদের ওই স্কুলে ৪৯ জন শিক্ষিকা এবং ১ জন শিক্ষক আছেন। ছাত্রীসংখ্য প্রায় ১৮০০। গত কয়েক মাস ধরে সরকার নির্ধারত বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা তাঁরা পাচ্ছেন না, এই অভিযোগ তুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ ক্লাস বয়কট করে বৃহস্পতিবার থেকে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন। |
|
ছবি: তাপস ঘোষ। |
অভিভাবকদের বক্তব্য, আন্দোলনের জেরে মেয়েদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। স্কুলেরও সুনাম নষ্ট হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে আলোচনা করে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করা। বিকেল ৪টে নাগাদ স্কুল অভিভাবকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যায় শিক্ষকদের দু’জন প্রতিনিধিকেও বৈঠকে ডেকে নেওয়া হয়।
স্কুল সূত্রের খবর, বৈঠকে কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দাবি মেনে মাত্র এক মাসের মহার্ঘ ভাতা তাঁরা দেবেন। কিন্তু তা মানেননি আন্দোলনকারীরা। তাঁদের মধ্যে সঞ্চয়িতা তালুকদার নামে এক শিক্ষিকা বলেন, “আমাদের আন্দোলনের চাপে সরকার নির্ধারিত বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা মাত্র এক মাস দিতে সম্মত হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বরাবর নয়। এটা আমরা মানব না।” এ দিনও স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য মেলেনি। ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে শুধু জানানো হয়, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলা যাবে না। |
|
|
|
|
|